গাজীপুর সিটি নির্বাচন

রাত পোহালেই গাজীপুর সিটিতে ভোট

রাত পোহালেই গাজীপুর সিটিতে ভোট

ঢাকা, ২৫ জুন (জাস্ট নিউজ) : রাত পোহালেই গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ। ভোটার ও আয়তন বিবেচনায় দেশের সবচেয়ে বড় এ সিটি কর্পোরেশনে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে।

সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত করার লক্ষ্যে ভোট দিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন গাজীপুরবাসী। রবিবার শেষ মুহূর্তের প্রচার চালিয়েছেন মেয়র, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীরা। এখন জয় পেতে নানামুখী হিসাব-নিকাশ কষছেন তারা। এদিকে নির্বাচনের শেষ সময়ের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গুছিয়ে আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এবারই প্রথম ভোট গ্রহণ পরিস্থিতির তথ্য তাৎক্ষণিক জানার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে দু’ঘণ্টা পরপর প্রয়োজনীয় সার্বিক তথ্য কমিশন সচিবালয়কে জানাবেন। এ ছাড়া নির্বাচনের নিরাপত্তায় মাঠে টহল দিচ্ছেন কয়েক হাজার বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ সদস্য। আচরণবিধি দেখভালে নির্বাচনী এলাকায় রয়েছেন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল লড়াই হবে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপির মো. হাসান উদ্দিন সরকার- এ দুই প্রার্থীকে ঘিরেই চলছে যত আলোচনা। পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতি ও স্থানীয় উন্নয়ন ইস্যু উঠে এসেছে এ নির্বাচনী প্রচারে।

তফসিল ঘোষণার পর থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রচার-প্রচারণায় মুখর হয়ে ওঠে গাজীপুর। ভোটের জনপ্রিয়তার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে সম্ভাব্য সব কৌশল অবলম্বন করছে দল দুটি।

তারা আরো জানান, গত ৩১ মার্চ তফসিল ঘোষণার ৮৬ দিন পর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে ভোটার ও প্রার্থীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। গত ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও আইনি জটিলতায় মাঝপথে আটকে যায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন।

পরে আপিল বিভাগের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিটি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত বড় কোনো সহিংস ঘটনা না ঘটায় স্বস্তিতে আছেন স্থানীয় ভোটাররা।

দেশের সবচেয়ে বেশি ভোটার গাজীপুর সিটিতে। এ সিটি কর্পোরেশনে ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ জন ও নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন। এ নগরীতে নতুন ভোটার ১ লাখ ১১ হাজার। এ ছাড়া শ্রমিক ভোটার দুই লাখের বেশি। নির্বাচনে নারী, নতুন ও শ্রমিক ভোটাররাই প্রধান ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবেন বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির স্থানীয় নেতারা।

নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো ও উৎসবমুখর রয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল। ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, ভোটের জন্য দীর্ঘদিন ধরে মুখিয়ে আছেন গাজীপুরবাসী। ভোট গ্রহণের সব প্রস্তুতি শেষ করেছি। সোমবার (আজ) প্রতিটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের মালামাল পৌঁছে যাবে। ভোটারদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে ১০ হাজার সদস্য কাজ করবেন। তিনি বলেন, কোনো শঙ্কা বা ভয় নয়, নির্ভয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।

সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মো. হারুন-অর-রশীদ বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত কোনো প্রকার সহিংসতা গাজীপুরে হয়নি। আশা করি ভোটের দিন ২৬ জুন ও এর আগে-পরে কোনো সহিংসতা হবে না। এ নির্বাচন উপলক্ষে ইতিমধ্যে পুরো গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পোশাকি সদস্যদের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্য নগরীর বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচন উপলক্ষে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, গাজীপুর সিটির বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ তল্লাশি করছে। পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির সদস্যরা গাড়ি নিয়ে টহল দিচ্ছেন। সন্দেহভাজনদের চেক করা হচ্ছে। প্রচারের শেষ দিন রোববার মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকদের খণ্ড খণ্ড মিছিলে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশের। এদিকে ভোটের নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার মধ্যরাত থেকে মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

সোমবার মধ্যরাত থেকে সব ধরনের যানবাহন চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। তবে হাইওয়ে ও জরুরি সেবা দেয়ার গাড়ি এর আওতামুক্ত থাকবে। এর আগে শনিবার মধ্যরাত থেকে বহিরাগতদের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়।

মূল লড়াই নৌকা ও ধানের শীষে : গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), বিএনপি মো. হাসান উদ্দিন সরকার (ধানের শীষ), ইসলামী ঐক্যজোটের ফজলুর রহমান (মিনার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন (হাতপাখা), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. জালাল উদ্দিন (মোমবাতি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কাজী মো. রুহুল আমিন (কাস্তে) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ (টেবিল ঘড়ি)। নির্বাচনের মাঠে কমবেশি সব প্রার্থী সরব প্রচার চালিয়েছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন। ভোট চেয়েছেন। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, সাত প্রার্থী হলেও মূল লড়াই হবে জাহাঙ্গীর আলম ও হাসান সরকারের মধ্যে। দু’জনই উন্নয়নের প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন। নগরীর ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের টঙ্গীর তেঁতুলতলার বাসিন্দা আসলাম হোসেন বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে অনেক সমস্যা। যানজট আমাদের নিত্যসঙ্গী। ড্রেনেজ ব্যবস্থাও ভালো নয়। নগরীর উন্নয়ন করতে পারবেন এমন প্রার্থীকে আমরা ভোট দেব। ভোগড়ার বাসিন্দা সাইফুল হক বলেন, যোগ্য ও দক্ষ ব্যক্তিকে ভোট দেব।

কাউন্সিলর পদে ৩৩৮ প্রার্থী : ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গঠিত। এসব ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে ৩৩৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ৫৬টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৫৪ জন। এদের মধ্যে বড় অংশই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। এ পদে নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হলেও প্রচার-প্রচারণায় দলীয় পরিচিত বড় হয়ে উঠে এসেছে। ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মাজহারুল ইসলাম কাউন্সিলর পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ওয়ার্ডটিতে ভোট গ্রহণ হবে না। এছাড়া সংরক্ষিত ১৯টি ওয়ার্ডে ৮৪ নারী কাউন্সিলর নির্বাচন করছেন।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনের শুরুতে কাউন্সিলর পদে দলীয় সমর্থন দিলেও পরে তা প্রত্যাহার করে নেয়। অপরদিকে বিএনপি কাউন্সিলর পদে কাউকে সমর্থন দেয়নি।

তিন স্তরের নিরাপত্তা : গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ নির্বাচনে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসারের প্রায় সাড়ে ১০ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবেন। এর মধ্যে কেন্দ্র পাহারায় থাকবেন পুলিশ, আনসার ও আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়নের সমন্বয়ে কয়েক হাজার সদস্য। কেন্দ্রের বাইরে ২৯ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ৫৮টি টিম এবং পুলিশের ৫৭টি মোবাইল ও ২০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হচ্ছে।

এসএমএসের মাধ্যমে ভোট কেন্দ্রের তথ্য : গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় ভোট গ্রহণ পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে জানতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ইসি। এবার এসএমএস ভিত্তিক ভোট কেন্দ্র মনিটরিং ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। এক্ষেত্রে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে (শর্ট কোডে-১০৫) এসএমএসের মাধ্যমে ১৯ বিষয়ে গোপনে তথ্য নেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে বিশেষ মুহূর্তে চালু থাকবে বিশেষ এসএমএসের ব্যবস্থাও।

এক্ষেত্রে কোনো কেন্দ্রে জাল ভোট বা সিল মারার ঘটনা ঘটলে বা তথ্য পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে কমিশন। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসারদের জন্য একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে সকাল ১০টা, দুপুর ১২টা এবং ২টায় ভোটার উপস্থিতি ও ভোট প্রদানের হার সরাসরি জানতে পারবে কমিশন। সেই সঙ্গে ভোট কেন্দ্রে কোনো অঘটন বা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে তাও তাৎক্ষণিক ভাবে শর্টকোড এসএমএসের মাধ্যমে কমিশনে জানাবেন কর্মকর্তারা। এক্ষেত্রে কমিশন ঢাকায় বসে এসব এসএমএসের তথ্য অনুযায়ী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।

৮ হাজার ৭০৮ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা : এ নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং এবং পোলিং অফিসার (ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৮ হাজার ৭০৮ জন। এর মধ্যে প্রতি কেন্দ্রে একজন প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে ৪২৫ জন, প্রতিটি কক্ষে একজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে ২ হাজার ৭৬১ জন এবং প্রতিটি কক্ষে দু’জন পোলিং অফিসার হিসেবে ৫ হাজার ৫২২ জন থাকবেন। ভোটার শনাক্ত এবং ব্যালট দিয়ে ভোট কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এসব কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন।

ইসির নিজস্ব পর্যবেক্ষক : ভোটের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে ভোট কার্যক্রমের গতি-প্রকৃতি, ভোটার, প্রার্থী-কর্মী-সমর্থকদের গতিবিধি এবং সর্বোপরি নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনসহ সব কিছু সাধারণ পোশাকে ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করবেন ইসির এ নীরব পর্যবেক্ষকরা। ভোটে কোনো ধরনের অনিয়ম দেখলে তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ, রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত এবং প্রয়োজনে কমিশনকে ঘটনার তথ্য সম্পর্কে জানাবেন তারা। রোববার কমিশন সচিবালয়ে এসব পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসিসহ পাঁচ কমিশনার। বৈঠকে এসব পর্যবেক্ষকদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেয় কমিশন।

ছয় কেন্দ্রে ইভিএম ও সিসি ক্যামেরা : ভোটার সচেতন এবং শিক্ষিত ও শহরকেন্দ্রিক ৬ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেয়া হবে। যান্ত্রিক জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ যাতে বুঝে-শুনে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেজন্য নগরীর ওই দুটি ওয়ার্ডকে বেছে নেয়া হয়েছে। আর ঝুঁকিপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিবেচনায় সিটির কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার সহায়তায় নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এসব প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য আইটি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা হয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ৩৩৭টি : গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪২৫টি ভোট কেন্দ্রের ৩৩৭টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভোট কেন্দ্র পাহারায় ২৪ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। বাকি ৮৮টি সাধারণ ভোট কেন্দ্রে ২২ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১০৩০ঘ.)