সংগীতশিল্পী আনুশেহর ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ

বনানীর হোটেলে ফের তরুণী ধর্ষণ

বনানীর হোটেলে ফের তরুণী ধর্ষণ


ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : রাজধানীর বনানীতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক তরুণী (৩২)। গত ১৩ ডিসেম্বর এ ব্যাপারে বনানী থানায় মামলা করেন তিনি। এতে একমাত্র আসামি করা হয়েছে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আনুশেহ আনাদিলের ভাই কুশান ওমর সুফিকে (৩৮)।

বনানী থানা সূত্রে জানা যায়, তরুণীর অভিযোগ বনানী এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ওই তরুণীর সঙ্গে কুশান ওমর সুফির প্রায় দেড় বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায়ই কুশানের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যেতেন ওই তরুণী। কুশানের বাসায়ও বেড়াতে যেতেন তিনি। একপর্যায়ে ওই তরুণীকে কুশান বিয়ে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন এবং বাসায় নিয়ে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। গত জুন মাসে কুশান দেশের বাইরে যান এবং সেপ্টেম্বর মাসে দেশে ফিরে ওই তরুণীকে বিয়ে করার আশ্বাস দেন। দেশে ফেরার পর বিয়ের ব্যাপারে কথা বলার জন্য গত ১৯ নভেম্বর ওই তরুণী কুশানের বাসায় যান।

ওই তরুণীর অভিযোগ, এ সময় কুশানের বোন আনুশেহ আনাদিল তাকে (তরুণী) বাসায় প্রবেশ করতে নিষেধ করেন। এ সময় কুশান ওই তরুণীকে বাইরে গিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেন। পরে একটি রেস্তোরাঁয় খাওয়াদাওয়া শেষে রাতে বনানীর একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান।

ওই তরুণীর অভিযোগ, ওই হোটেলের একটি কক্ষে কুশান তাকে মারধর ও ধর্ষণ করেন।

এজাহার থেকে আরো জানা যায়, ওই তরুণী বিষয়টি গত ২০ নভেম্বর সকালে মোবাইল ফোনে বনানী থানায় জানায়। থানার একটি টহল টিম ওই হোটেলে গিয়ে ওই তরুণী এবং কুশানকে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ অভিযোগ করার জন্য আইনি পরামর্শ দেয়।

মামলায় বলা হয়েছে, এই খবর পেয়ে কুশানের চাচা পাপ্পু সুফি থানায় আসেন। এরপর ওই তরুণী, তার স্বজনসহ একাধিক ব্যক্তির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন কুশান। পরদিনই ওই তরুণীকে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।

এজাহারে ওই তরুণী জানান, বিয়ের দিন ধার্য হওয়ায় তিনি ঘটনার বিষয়ে থানায় আর কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি। ওই সময় উপস্থিত সবার সামনেই বিষয়টির মীমাংসা হয়।

তরুণীর অভিযোগ, মীমাংসার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরদিন ২১ নভেম্বর কুশানের বাসায় যান তিনি। কিন্তু কুশানের বোন আনুশেহ আনাদিল, তার স্বামী পান্ডুরাঙা ব্লুমবার্গ ও সাজলী নামে কুশানের এক আত্মীয় তাকে (তরুণী) মারধর ও হুমকি দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন। ওই তিনজন কুশানকে অন্যত্র সরিয়ে দেন এবং আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে কুশানকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেবেন বলে জানিয়ে দেন।

এজাহারের শেষে ওই তরুণী আরো অভিযোগ করেন, কুশান তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। এ ছাড়া কুশান যেকোনো সময় দেশ ত্যাগ করতে পারেন বলেও উল্লেখ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান ওই তরুণী।

এই মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মতিন বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য ওই তরুণীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(জাস্ট নিউজ/একে/২৩৩৫ঘ.)