নওগাঁয় ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

নওগাঁয় ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

 

নওগা, ১৯ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : নওগাঁর মান্দা উপজেলায় গলায় হাঁসুয়া (ধারালো অস্ত্র) ধরে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রংপুরের মিঠাপুকুরে চকোলেটের প্রলোভন দিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির আরেক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, মান্দা উপজেলার কালীসফা হঠাৎপাড়া গ্রামে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই ছাত্রীকে প্রতিবেশী মৃত আবদুল গফুরের ছেলে টিভি মেকানিক শাহীন ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার চার দিন পার হলেও থানা পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

ওই ছাত্রী জানায়, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শাহীন তার ঘরে প্রবেশ করে। তার গলায় ধারালো হাঁসুয়া ধরে গলা কেটে ফেলার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে শাহীন পালিয়ে যায়। ওই রাতেই পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরে হাসপাতাল থেকে থানায় নেওয়ার পর একটি অভিযোগ লিখে নিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

মান্দা থানার ওসি আনিছুর রহমান বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। মামলার বিষয়টি দেখবেন এবং তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।

জানা যায়, মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দ ইউনিয়নের ইসলামপুর ভাঙারপাড়া গ্রামে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিশুটির বাবা থানায় মামলা করেন। পুলিশ সোমবার অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত জেলাল মিয়াকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার দুপুরে শিশুটি বাড়ির আঙিনায় খেলছিল। এ সময় প্রতিবেশী মজিবর রহমানের ছেলে জেলাল চকোলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সে পালিয়ে যায়।

মিঠাপুকুর থানার ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/ওটি/১০০১ঘ.)