রাতে হাইভোল্টেজ ম্যাচে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স মুখোমুখি

রাতে হাইভোল্টেজ ম্যাচে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স মুখোমুখি

ঢাকা, ৩০ জুন (জাস্ট নিউজ) : ৭৮ ও ৮৬ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা এবং ৯৮ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ১৯৩০ ও ১৯৭৮ সালে দুই বার বিশ্বকাপ ফুটবলে মুখোমুখি হয়েছিল। দুইবারই আর্জেন্টিনার জয় হয়েছে। আর্জেন্টিনার কোচ সাম্পাওলি নাইজেরিয়ার বিপক্ষে পাওয়া জয়ের পর সেই পুরোন একাদশটাই ধরে রাখতে চান। তার হিসাবে কোচের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ১৪টি ম্যাচ খেলেছে আর্জেন্টিনা। একাদশটাকে সেভাবেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হয়েছে। ২৩ ফুটবলারের মধ্যে ১৯ জনকে খেলানো হয়ে গেছে।

আর্জেন্টিনার সবেচেয়ে বড় দুর্ভাবনা হচ্ছে তাদের দলে হলুদ কার্ডের সংখ্যাটা। মেসি-মাচেরানোসহ ৬ জন হলুদ কার্ড দেখেছেন। আজকে ফ্রান্সের বিপক্ষে কেউ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেলেই পরের খেলায় (পর্তুগাল অথবা উরুগুয়ের সঙ্গে) সে আর নামতে পারবে না।

শেষ ষোলোতে থামতে হবে এই দুই ফেভারিটের কোন এক দলকে। এক ম্যাচ বিশ্রামে থাকা পগবা, লরিস আর এমবাপ্পেরা যেখানে চাঙ্গা হয়ে নামবেন সেখানে ক্লান্তির বোঝা লিওনেল মেসির ওপর। কাজান অ্যারেনায় ম্যাচটি শুরু হবে রাত আটটায়। তবে এবার একটা নক্ষণপতন অবশ্যম্ভাভী। রাউন্ড অব সিক্সটিনে আর্জেন্টিনা বা ফ্রান্স যে দলই বিদায় নিক বিশ্বকাপ হারাবে এক সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে। যেভাবে গ্রুপ পর্ব পাড়ি দিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা তাতে খুব একটা আশাবাদী হতে পারছেন না সমর্থকরাও। বাজির দরও ফরাসীদের পক্ষে। আর্জেন্টিনাকে জিততে হলে দেখাতে হবে সেরা ফর্ম। লিওনেল মেসিকেও।

মেসি কি আগের জায়গায় খেলবেন না ফলস নাইন পজিশনে সুযোগ পাবেন? ক্রিস্তিয়ান পাভোন ও গঞ্জালো হিগুয়েন খেললেই মেসি পাবেন বাধাহীন খেলার সার্টিফিকেট। কিছুটা আহত এনজো পেরেজের জন্য শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন কোচ হোর্হে সাম্পাওলি। নিজেদের বেস ক্যাম্প ব্রনস্তিকে ভালোবেসে ফেলা আর্জেন্টিনা সেখানেই শেষ অনুশীলন শেষে পৌঁছেছে কাজান। আর ৯৮ বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা রুবিন কাজানের মাঠেই সেরেছে প্রস্তুতি। ফেভারিট হিসেবে বিশ্বকাপ শুরু করা ফরাসীরাও অন্য বড়দের মত সেরা ফর্ম দেখাতে পারেনি। সাত পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও না। পুরো গ্রুপ পর্বের একমাত্র গোলশূণ্য ম্যাচটি ফ্রান্স-ডেনমার্কের। সেই ম্যাচে বিশ্রামে থাকা বড় তারকাদের সবাইকে ফেরাচ্ছেন দিদিয়ের দেশম।

৯৮র চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক কোচ হিসেবে ৮১তম ম্যাচে ডাগআউটে থাকার অপেক্ষায়। তবে সাফল্য-ব্যর্থতা যাই হোক এটাই শেষ নয় তাঁর নিশ্চিত করেছেন ফ্রেঞ্চ ফুটবল প্রেসিডেন্ট। বার্সেলোনা সতীর্থ ইভান রাকিটিচের বাধা টপকাতে পারেননি মেসি। এবার আরেক ক্লাব সতীর্থ স্যামুয়েল উমতিতি প্রতিপক্ষ হয়ে অপেক্ষায়। ফ্রান্সের দুর্ভেদ্য রক্ষণে আছেন রাফায়েল ভারানও। শিরোপা পথটাও কঠিন থেকে কঠিনতর আর্জেন্টিনার। কেননা কোয়ার্টার ফাইনাল হতে পারে রোনালদোর পর্তুগালের সঙ্গে। সেমিফাইনালে দেখা হয়ে যেতে পারে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের। তারপর না ফাইনাল চিন্তা! বিশ্বকাপে দুই দল চল্লিশ বছর পর মুখোমুখি হবার অপেক্ষায়। আগের দুইবারই জিতেছে আর্জেন্টিনা।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১০২৫ঘ.)