তিস্তার পানি বিপদসীমার ১১ সে:মি: উপরে, ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি

তিস্তার পানি বিপদসীমার ১১ সে:মি: উপরে, ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি

লালমনিরহাট, ৫ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজান নদীর বৃদ্ধি পেয়ে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় সৃষ্ট বন্যায় প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৬টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদ সীমার ১১ সেন্টিমিটর উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারেজ দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তা পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৭১ সেন্টিমিটর। ব্যারাজ রক্ষার্থে ৪৪টি জলকপাট খুলে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

তিস্তার পানিবৃদ্ধির ফলে জেলার পাঁচটি উপজেলার চরাঞ্চল এলাকার প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। গত তিন দিনে তাদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবার সংকট দেখা দিলেও এখন পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোন ত্রাণ বিতরণ করা হয়নি বলে পানি বন্দি পরিবারগুলো জানিয়েছেন।

এদিকে লালমনিরহাট জেলা প্রসাশক শফিউল আরিফ সদর উপজেলার কুলাঘাট ধরলা নদীর পানিবন্দি এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন।

তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দেয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা তিস্তা চর বেস্টিত গ্রামগুলোর বসতঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ফলে হাতীবান্ধা তিস্তা চরের চর গড্ডিমারী, চর ধুবনী, সিংগিমারী, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ি,বড়খাতা, ফকিরপাড়া আশপাশের কয়েকটি গ্রামে বসবাসরত ঘরবাড়িতে পানি উঠে তিন দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।

বন্যার সাথে ভাঙছে নদী। গত এক সপ্তাহে জেলায় শতাধিক বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো।

আদিতমারী উপজেলার কুটিরপাড় বালুর বাঁধের প্রায় দুই শত মিটার নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। বাঁধটি রক্ষায় কাজ শুরু করেছে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ।

ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উজানের ঢলে গত ১৪ ঘণ্টায় বিপদ সীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) শফিউল আরিফ জানান, পানি বন্দি পরিবার গুলো জন্য দ্রুত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলোতে কাজ চলমান রয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/প্রতিনিধি/একে/২৩৫৯ঘ.)