রোহিঙ্গা সংকট জটিল রূপ নিতে পারে: কানাডার দূত

রোহিঙ্গা সংকট জটিল রূপ নিতে পারে: কানাডার দূত

ঢাকা, ৯ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : মিয়ানমার বিষয়ক কানাডার বিশেষ দূত বব রে বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট অদূর ভবিষ্যতে আরো জটিল রূপ ধারণ করতে পারে। এ আশঙ্কা সামনে রেখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশ্বে আর কোথাও এত বেশি রাষ্ট্রহীন মানুষ নেই। প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা রাষ্ট্রহীন থাকতে পারে না, অবশ্যই তাদের নিজের দেশ মিয়ানমারে নিরাপদে নাগরিক অধিকারসহ বসবাসের পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

সোমবার ঢাকায় কানাডা হাইকমিশন ক্লাবে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।

বব রে রবিবার ঢাকায় পৌঁছে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। মঙ্গলবার সকালেই কানাডা ফিরবেন তিনি। এর আগে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং রাখাইনে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত অঞ্চল পরিদর্শন করে এ সংকট সমাধানে পাঁচ দফা সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদনও দেন।

কানাডার প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ বব রে বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান যত বিলম্বিত হবে ততই এ সংকট জটিল রূপ নেবে। এমনিতেই বাংলাদেশের একার পক্ষে এত বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর বোঝা বহন করা দুরূহ হয়ে পড়ছে। এত সংখ্যক মানুষ রাষ্ট্রহীন ও নাগরিক অধিকার বঞ্চিত থাকলে তাদের মধ্যে উগ্রপন্থাসহ এ ধরনের বিধ্বংসী মতবাদ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এটা অবশ্যই পুরো বিশ্বের জন্যই বড় উদ্বেগের কারণ।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা সংকট এখন শুধু বাংলাদেশের নয়, পুরো বিশ্বের সামনেই একটি বড় সংকট।

কানাডার বিশেষ দূত বলেন, সংকট সমাধানে মিয়ানমারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ সংকটের সমাধান হবে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে প্রত্যাবাসন এবং সেখানে তাদের নিরাপদ বসবাস ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হওয়ার পর। রাখাইনে তাদের বসবাসের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি না হলে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠিয়ে সংকটের সমাধান হবে না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের সামর্থ্যের মধ্যে মিয়ানমারের ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। মিয়ানমারকে কোনো ধরনের সামরিক সহায়তা এবং অস্ত্র বিক্রি করা হচ্ছে না। মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ভ্রমণের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে।

মিয়ানমার সফরে গিয়ে সে দেশের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি এবং অন্যদের সঙ্গে আলাপ করে তিনি বুঝতে পেরেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরেও এ সংকট সমাধানের উপায় নিয়ে মতভেদ রয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/একে/২১২৯ঘ.)