ঢাকা, ১১ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্নার সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করা করা হয়েছে।
দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত শাখা থেকে বুধবার এ নোটিশ জারি করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে ডিআইজি মিজানের নামে এক কোটি ৫৩ লাখ ৭০ হাজার ৭৬৩ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭৯ লাখ ৩৬ হাজার ৬৫০ টাকার স্থাবর ও ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ১১৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটির আওতায় পাঁচ কাঠা জমি, পূর্বাচলে পাঁচ কাঠা জমি, পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির আওতায় সাত কাঠা ৫০ শতাংশ জমি এবং অ্যাডভান্স পুলিশ টাউনে ফ্ল্যাট।
অন্যদিকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে নিজ এলাকায় ৩২ শতাংশ জমিতে দুই হাজার ৪০০ বর্গফুটের বিলাসবহুল দ্বিতল বাড়ি রয়েছে তার। এটি নির্মাণে ৬৩ লাখ ৭০ হাজার ৬৪১ টাকা খরচ করা হয়েছে। অনুসন্ধানে ডিআইজি মিজানের নামে এসব সম্পদের মধ্যে ৪৬ লাখ ৩২ হাজার ১৯১ টাকার এবং তার স্ত্রীর নামে ৭২ লাখ ৯০ হাজার ৯৫২ টাকার অসঙ্গতিপূর্ণ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজ মিলেছে।
ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না আয়কর নথিতে স্থাবর ও অস্থাবর মোট ৮৫ লাখ ৪৬ হাজার ৯৩৫ টাকার সম্পদের তথ্য দিয়েছেন। অথচ আয়ের উৎস পাওয়া যায় মাত্র ১২ লাখ ৫৫ হাজার ৯৮৩ টাকা। অর্থাৎ দুদকের অনুসন্ধানে আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭২ লাখ ৯০ হাজার ৯৫২ টাকার সম্পদ রয়েছে।
এ ছাড়া ডিআইজি মিজানের ভাই মাহবুবুর রহমান স্বপনের নামে রাজধানীর বেইলী রোডে বেইলী রোজ নামের বাড়িতে ২ হাজার ৪০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ও ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসানের নামে চাকরিতে প্রবেশের আগেই ঢাকার পাইওনিয়ার রোডে ২০০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া যায়। দুদকের ধারণা, ডিআইজি মিজান তাদের নামে এসব সম্পদ করেছেন। এ কারণেই দুদক তাকে সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ দিয়েছে।
(জাস্ট নিউজ/একে/২১৩৬ঘ.)