সাভারে মাদক দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে দুই সোর্সসহ কনস্টেবল আটক

সাভারে মাদক দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে দুই সোর্সসহ কনস্টেবল আটক

সাভার, ২৭ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : এক রিকশাচালককে মাদক দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছেন ঢাকার সাভার মডেল থানার এক কনস্টেবল। পরে ওই কনস্টেবলসহ দুই তথ্যদাতাকে (সোর্স) পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের নাম নুরুল আমিন। তাকে প্রত্যাহার করে ঢাকার পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অন্যদিকে দুই সোর্স জামাল ও আকাশকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের দুই দিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন।

সাভার মডেল থানার পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে পুলিশের তথ্যদাতা জামাল ও আকাশকে নিয়ে কনস্টেবল নুরুল আমিন পৌর এলাকার কামাল রোড থেকে আশিক নামের ওই রিকশাচালককে আটক করেন। এরপর তাকে স্থানীয় একটি রিকশার গ্যারেজে নিয়ে তার কাছে ইয়াবা থাকার কথা বলে তা বের করে দিতে বলেন। এ সময় লোকজন জড়ো হয়ে তার দেহ তল্লাশি করতে বলেন। জনতার কথায় কনস্টেবল নুরুল আমিন আশিকের দেহ তল্লাশি করে ইয়াবা না পেয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে এক প্যাকেট সিগারেট দাবি করেন। আশিক সিগারেট আনতে গেলে সোর্স আকাশ তার রিকশা নিয়ে সটকে পড়েন। এ সময় স্থানীয় লোকজন নুরুল আমিন ও জামালকে আটক করে চড়থাপ্পড় দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।

রিকশাচালক আশিক বলেন, তিনি রিকশা চালিয়ে আড়াপাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। রিকশায় কোনো যাত্রী ছিল না। নুরুল আমিন তাকে কামাল রোড থেকে আটক করে গ্যারেজে নিয়ে মাদক ব্যবসায়ী বলে টাকা দাবি করেন।

সাভার মডেল থানার একাধিক কর্মকর্তা জানান, নুরুল আমিন ছুটিতে ছিলেন। ছুটিতে থাকা অবস্থায় এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন। জনতার হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ লাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই নুরুল আমিনকে সাভার থানা থেকে প্রত্যাহারের পর আটক করে পুলিশ লাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

(জাস্ট নিউজ/একে/২৩৫৪ঘ.)