পাচার নির্মূলে ন্যূনতম মানদন্ড পুরো অনুসরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ

পাচার নির্মূলে ন্যূনতম মানদন্ড পুরো অনুসরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ

ঢাকা, ৩০ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : পাচার নির্মূলের ন্যূনতম মানদন্ড পুরোপুরি অনুসরণ করতে পারে নি বাংলাদেশ সরকার, যদিও এক্ষেত্রে তাদের উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা আছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাচারের অভিযোগে সরকার তদন্ত করেছে এবং কয়েকজন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে।

মানবপাচার নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত বার্ষিক এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ প্রতিবেদনের নাম দেয়া হয়েছে ‘২০১৮ ট্রাফিকিং ইন পারসন রিপোর্ট’। এতে বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে ‘টায়ার ২ ওয়াচ লিস্টে’। এই টায়ারটি বিপন্নতা নির্দেশ করে।

ওই রিপোর্টে বাংলাদেশ অধ্যায়ে আরো বলা হয়েছে, আগের বছরে রিপোর্ট করার সময়ের তুলনায় পাচার রোধে প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করেনি সরকার। ২০১৭ সালে আদালত মাত্র একজন পাচারকারীকে শাস্তি দিয়েছে। পাচারের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি এখনও একটি গুরুত্বর সমস্যা রয়েছে গেছে। বিশ্বাসযোগ্য বেশকিছু অভিযোগের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সরকার।

পাচারের শিকার ব্যক্তিদেরকে পুনর্বাসন সেবা দেয়ার জন্য আদালত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু ২০১৭ সালে এমন একজন মাত্র পাচারের শিকার ব্যক্তি এ সেবা পেয়েছেন। সরকারের সুরক্ষা বিষয়ক সেবা ভিক্টিমদের প্রয়োজনীয় চাহিদার মতো নয় এবং বয়স্ক পুরুষ ভিক্টিমদের জন্য তা পর্যাপ্ত নয়।

বাংলাদেশ সরকার শ্রমিক রপ্তানি নিয়ে বেশকিছু দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে। এর উদ্দেশ্য রিক্রুটমেন্ট ফি নির্ধারণ করা। কিন্তু উচ্চহারে রিক্রুটমেন্ট ফি অনুমোদন করছে সরকার। রিক্রুটিং বিষয়ে সাব-এজেন্ট হিসেবে অবৈধভাবে যারা কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এর ফলে বিপন্ন হয়ে শ্রমিকরা পাচারের শিকার হচ্ছেন। তাই বাংলাদেশ টানা দ্বিতীয় বছরের জন্য ‘টায়ার ২ ওয়াচ লিস্টে’ই থাকছে। ওই রিপোর্টে বাংলাদেশের প্রতি বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/১৮৪৫ঘ.)