নৌমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ

নৌমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ

ঢাকা, ১ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের খবর শুনে হাসির কারণে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নৌমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করে।

২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের ফুটপাতে বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ দুর্ঘটনার পর সাংবাদিকদের হাসিমুখে প্রতিক্রিয়া দিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।

এরপর ঘাতক চালকের ফাঁসি ও নৌমন্ত্রীর ক্ষমাপ্রার্থনাসহ নয় দাবিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করে আসছে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনে (বিসিআইসি) শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের এক অনুষ্ঠানে নৌমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ভুল হচ্ছে আমি হাসি। যারা হাসে তাদের মানুষ ও সৃষ্টিকর্তা ভালোবাসেন। এখন আমার হাসা যদি ভুল হয়, তাহলে আমি আর হাসব না।’

তিনি বলেন, ‘আমার হাসি যদি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকে, তাহলে আমি দুঃখিত। বিষয়টিতে আমি বিব্রত।’

জড়িতদের বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। সেখানে নৌমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফার্মগেট এলাকায় অবস্থান নেয় সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের সাথে যোগ দেয় বিএফ শাহীন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরপর মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা কারওয়ান বাজার, বাংলামটর, শাহাবাগ হয়ে সাইন্সল্যাব এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। এসময় তাদের সাথে যোগ দিয়েছে, সিটি কলেজ, ঢাকা কলেজ, আইডিয়াল কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজ, শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজ ইত্যাদি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফার্মগেট থেকে শিক্ষার্থীরা সাইন্সল্যাব এলাকায় যাওয়ার সময় সরকারি বিআরটিসি বাসসহ সকল গণপরিবহন ও চালকদের লাইসেন্স আছে কি না তা চেক করেন। এসময় মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের গাড়িও আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে বাংলামোটর এলাকায় নৌ মন্ত্রণালয়ের একটি গাড়ি আটকে গাড়ির লাইসেন্স আছে কি না তা জিজ্ঞাসা করে শিক্ষার্থীরা। লাইসেন্স আছে জানালে তারা গাড়িটি ছেড়ে দেয়।

এর আগে সোনারগাঁওয়ের সামনে একটি মন্ত্রীর গাড়ি আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় নিরাপত্তাকর্মীরা বের হয়ে মন্ত্রীর গাড়ি বললে ছেড়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে শাহবাগে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় অনেক পুলিশকে হাত জোর করে আন্দোলন থামানোর জন্য অনুরোধ করতে দেখা গেছে। এসময় তারা স্লোগান দিতে থাকে ‘আমার মায়ের কান্না আর না আর না’

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৪৫২ঘ.)