নিহত শিক্ষার্থীর বাসায় নৌমন্ত্রী, ফের ক্ষমা প্রার্থনা!

নিহত শিক্ষার্থীর বাসায়  নৌমন্ত্রী, ফের ক্ষমা প্রার্থনা!

ঢাকা, ১ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থীর একজন দিয়া খানম মিমের বাসায় গিয়েছিলেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নৌমন্ত্রী মহাখালীর দক্ষিণপাড়ায় দিয়াদের বাসায় যান তিনি। সেখানে প্রায় ২০ মিনিট অবস্থান করে দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর ফকির এবং অন্যান্য স্বজনদের সান্তনা দেন। এসময় সেখানে নিহত দিয়ার বন্ধু-বান্ধবীসহ স্কুলের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর ফকির বলেন, ‘নৌপরিবহনমন্ত্রী বাসায় এসে আমাদের সান্তনা দেন। আমি তাকে বলেছি রাস্তায় যেসব অদক্ষ ড্রাইভার আছে তাদের লাইসেন্স ক্যান্সেল (বাতিল) করেন। লাইসেন্স চেক করেন। রাস্তায় চলাচল করার ফিটনেসবিহীন বাসগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। এসময় মন্ত্রী এসব করবেন বলে আশ্বাস দেন। এমনকি এগুলো নিয়ে আজ (বুধবার) মিটিং করা হয়েছে বলেও আমাকে জানান।’

নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের ভাষ্য সম্পর্কে জাহাঙ্গীর ফকির বলেন, ‘ঘটনার পরদিন তার হাসি নিয়েও ব্যাখ্যা দেন তিনি। মন্ত্রী বলেছেন, অন্য একটা বিষয় নিয়ে কথা হাচ্ছিল। সেসময় আমি (মন্ত্রী শাজাহান খান) হাসছিলাম। দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করায় উত্তর দেওয়ার সময় সেই হাসিটাই ছিল। আমি তখনো জানতাম না ঘটনাটা। বুঝতেও পারিনি। তারপরও আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই। সকল শিক্ষার্থীদের কাছেও ক্ষমা চাই।’

গত রবিবার রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের মুখে জাবালে নূর পরিবহনের তিনটি বাসের প্রতিযোগিতা করে যাওয়ার সময় এক বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। তারা হলেন- শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আব্দুল করিম রাজীব ও প্রথম বর্ষের ছাত্রী দিয়া খানম মীম। ওই ঘটনার জের ধরে ওই দিন বিকালেই সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সড়কে বিশৃঙ্খলার কারণে দুর্ঘটনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাসতে হাসতে তিনি ভারতের মহারাষ্ট্রের এক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩ জন নিহত হওয়ার উদাহরণ টেনে আনেন। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সোমবার মন্ত্রিসভার মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাকে তিরস্কার করেন। পরে তিনি হাসির জন্য ক্ষমা চেয়ে নিজের অবস্থানের ব্যখা দেন।

(জাস্ট নিউজ/একে/২০৫৯ঘ.)