সাংবাদিক নির্যাতনকারীদের বিচারে মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশ

সাংবাদিক নির্যাতনকারীদের বিচারে মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশ

ঢাকা, ৭ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।

মঙ্গলবার মানবাধিকার কমিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রিয়াজুল হক হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘শিশু শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবি মেনে নিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার পর পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হচ্ছিল এবং শিশু শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাসে ফিরে যাচ্ছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে কারা এসব শিশু শিক্ষার্থীর এবং সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করল? তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘সাংবাদিকরা মানবাধিকারকর্মী। তাদের ওপর হামলা অনভিপ্রেত। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে জোর সুপারিশ করছে। এই ধরনের হামলা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর নির্দেশনা দিতে কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত সুপারিশ করেছে।’

গত ৪ ও ৫ আগস্ট সায়েন্স ল্যাবরেটরি, জিগাতলা ও এর আশপাশের এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও ফটোসাংবাদিক হামলার শিকার হন। এঁদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম এপির সাংবাদিক এ এম আহাদ, প্রথম আলোর সাংবাদিক আহমেদ দীপ্তসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। হামলা ও সাংবাদিকদের মারধরের বেশ কয়েকটি ভিডিওচিত্রও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

এদিকে, গ্রেপ্তার হওয়া বিশিষ্ট আলোকচিত্র শিল্পী শহিদুল আলমের স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে জানান যে, গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের (ডিবি) হেফাজতে তাঁর স্বামীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে রক্তাক্ত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন অনভিপ্রেত। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদেরও গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদের সময় সংবিধান, প্রচলিত আইন ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হয়। শহিদুল আলমের ক্ষেত্রে উল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করতে কমিশন ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত সুপারিশ করেছে।’

(জাস্ট নিউজ/একে/২৩২১ঘ.)