ল্যাপটপ ‘ছিনতাই’ করতে গিয়ে পালালেন এএসআই

ল্যাপটপ ‘ছিনতাই’ করতে গিয়ে পালালেন এএসআই

সাভার, ১১ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : ল্যাপটপ বিক্রির জন্য অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেন এক শিক্ষার্থী। সেই বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরে ক্রেতা সেজে ল্যাপটপ কিনতে যান ঢাকার আশুলিয়া থানার এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও তার সহযোগীরা। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে ল্যাপটপ নিতে গিয়ে বিপাকে পড়েন তারা। শেষমেশ শিক্ষার্থীদের হাত থেকে কোনো মতে পালিয়ে যান এএসআইসহ কয়েকজন। তবে শিক্ষার্থীদের হাতে আটকা পড়েন একজন। সেই ঘটনায় এরই মধ্যে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে সেই এএসআইকে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে সাভারের আশুলিয়াতে এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি আশুলিয়ার নয়ারহাটে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (নিটার) বিএসসি ইন টেক্সটাইল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।

প্রত্যাহার করে নেওয়া আশুলিয়ার থানার ওই এএসআইয়ের নাম মামুন হোসেন। ঘটনার পর নিটার ও শিক্ষার্থীদের পক্ষে আশুলিয়া থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার দুপুরে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আউয়াল বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং দুটি অভিযোগ গ্রহণ করেন।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানায়, নিটারের শিক্ষার্থী নোমান তার ব্যবহৃত ল্যাপটপ বিক্রির জন্য গত ৩০ জুলাই অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেন। সেই সূত্র ধরে শুক্রবার রাতে এএসআই মামুন সাদা পোশাকে একটি মাইক্রোবাসে দুই-তিনজন সোর্স নিয়ে ল্যাপটপ দেখার কথা বলে ওই শিক্ষার্থীকে বাইরে ডেকে আনেন। এরপর নোমান ও তাঁর এক সহপাঠী বাইরে আসেন।

একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ভয় দেখিয়ে ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এএসআই মামুন। এ সময় ওই শিক্ষার্থীদের জঙ্গি বলেও ভয়ভীতি দেখানো হয়। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা খবর পেয়ে তাঁদের আটকে ফেলে। তখন এএসআই মামুন তার পরিচয় দিয়ে পিস্তল দিয়ে ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যান। তবে এক সোর্সকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে শিক্ষার্থীরা। ঘটনার পর থেকে এএসআই মামুনের ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ রয়েছে।

এদিকে নিটার পক্ষ থেকে এএসআই মামুনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মামুনসহ সোর্সদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৪৪ঘ.)