কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ-লুনাসহ ২৭ শিক্ষার্থীর জামিন

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ-লুনাসহ ২৭ শিক্ষার্থীর জামিন

ঢাকা, ২০ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৫ মামলায় মুহাম্মাদ রাশেদ খানসহ ২৭ শিক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছে আদালত। সোমবার ঢাকার বিভিন্ন আদালত শিক্ষার্থীদের জামিনের এ আদেশ দেয়। রাশেদ খান কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক। গত ১ জুলাই দুপুরে মিরপুর-১৪ নম্বরের ভাষানটেক বাজার এলাকার মজুমদার রোডের ১২ নম্বর বাসা থেকে রাশেদকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে শাহবাগ থানায় করা আইসিটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। মামলাটি দায়ের করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালীন কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয়।

মামলার নথিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন, যা প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রক্রিয়াধীন। এরপরও গত ২৭ জুন রাশেদ খান ‘কোটা সংস্কার চাই’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে ভিডিও লাইভে এসে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মানহানিকর বক্তব্য ও মিথ্যা তথ্য দেন। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের এ মামলায় রাশেদ খাঁনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসায় ভাঙচুরের আরেক মামলায় রাশেদকে আরও পাঁচ দিন রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে গত ১৮ রাশেদকে আদালতে হাজির করা হয়। ওই সময় ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর জামিন নাকচ করে রাশেদকে কারাগারে পাঠান। এরপর থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

সূত্র জানায়, আজ কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ, ফারুক হোসেন, এ পি এম সুহেল, সাখাওয়াত হোসেন রাতুল, যুগ্ম-আহ্বায়ক লুৎফুন্নাহার লুনা,তরিকুল ইসলাম, মশিউর রহমান ও জসিম উদ্দিন এর জামিন আবেদন অবশেষে মঞ্জুর করেছেন আদালত। বিভিন্ন আদালতে বাকী ১৯ শিক্ষার্থীর জামিন হয়।

উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে দায়িত্বরত পুলিশকে মারধর, কর্তব্যে বাধা, পুলিশের ওয়াকিটকি ছিনতাই ও ভিসির বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার অভিযোগে ১০ এপ্রিল শাহবাগ থানায় চারটি মামলা হয়। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে।

আর ভিসির বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এসএম কামরুল আহসান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। তবে চার মামলায় আসামিদের নাম ও সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়াও কোটা নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটা মামলা করে। এদিকে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চলাকালীন দুই ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক লুৎফুন্নাহার লুনার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/১৮১০ঘ.)