সংশোধিত শ্রম আইনের নীতিগত অনুমোদন

সংশোধিত শ্রম আইনের নীতিগত অনুমোদন

ঢাকা, ৩ সেপ্টেম্বর (জাস্ট নিউজ) : অনেক দিনের আলাপ- আলোচনার পর বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন ২০১৮ এর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সংশোধিত শ্রম আইনের খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম জানান, শ্রম আইনে ধারা হচ্ছে ৩৫৪টি। এই সংশোধনী প্রস্তাবে দুইটি ধারা, চারটি উপধারা, আটটি দফা সংযোজন করা হয়েছে। ৬টি উপধারা বিলুপ্ত করা হয়েছে। ৪১টি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৮ সালে সংশোধনের মাধ্যমে আইনটিকে আরও যুগোপযোগী এবং শ্রমবান্ধব করা হয়েছে।

এই আইনের উল্লেখযোগ্য সংশোধনের প্রস্তাবগুলো হলো- কোনও কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের ২০ শতাংশের সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন করা যাবে। এর আগে ৩০ শতাংশ লাগতো।

১৪ বছর বয়সের নিচে কোনও শিশুকে কোনও কারখানায় নিয়োগ দেওয়া যাবে না। ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোরদের কারখানায় শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে। কারখানায় নারী শ্রমিকরা ৮ সপ্তাহের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। এর ব্যত্যয় হলে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। কোনও নারী শ্রমিক সন্তানসম্ভবা হলে তার প্রমাণ পেশ করার ৩ দিনের মধ্যে ছুটি দিতে হবে। ৫১ শতাংশ শ্রমিকের অনুমতি সাপেক্ষে ধর্মঘট করা যাবে।

যেকোনও শ্রম আদালতে ৯০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। নাহলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অবশ্যই করতে হবে। যদি এই ১৮০ দিনের মধ্যেও যদি নিষ্পত্তি না হয় তাহলে বাকি পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবে।

বর্তমান বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-কে আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী আরও যুগোপযোগী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৬২৮ঘ.)