কক্সবাজার, ২৭ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : কক্সবাজারের মহেশখালীতে আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় বিমান বাহিনীর দুটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় মহেশখালী পৌরসভার পুটিবিলা পালপাড়া এবং ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের জালিয়াপাড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় দুই বিমানে থাকা ৪ জন পাইলটকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
মহেশখালী থানা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূর এলাকায় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। পৌরসভার পুটিবিলার সরওয়ার চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী গণসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদুল হাসান দুর্ঘটনার বিষয়ে বলেন, বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানগুলো রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তারপরই বিধ্বস্ত হয়। বিমান দুটি উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
বিমানটি বিধ্বস্তের পরপরই স্থানীয়দের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে মহেশখালী ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, ইয়াক-১৩০ মডেলের এ দুটো বিমান একই সময়ে চট্টগ্রাম বিমানবাহিনীর ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পরপরই রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুটো বিমানে দু’জন করে ৪ জন বৈমানিক ছিলেন। তারা হলেন- বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন শরীফ, উইং কমান্ডার রাজীব, উইং কমান্ডার আজিম ও স্কোয়াড্রন লিডার মনির। তারা বিমান দুটোতে আগুন ধরার সঙ্গে সঙ্গে প্যারাসুটের মাধ্যমে প্রাণ রক্ষা করতে সক্ষম হন। তারা ফরমেশান ফ্লাইংয়ের (পাশাপাশি দুটো উড্ডয়ন) সময় এ দুর্ঘটনার শিকার হন। পাইলট ৪ জনই এখন সুস্থ ও নিরাপদে আছেন বলে জানা যায়।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ম্যানেজার সাধন কুমার মোহন্ত এ দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করে জানান, আমরা দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি।
প্রত্যক্ষদর্শী যুবক হাসান জানান, বিকট শব্দের পরপরই দেখা যায় ঘটনাস্থলে আগুনের লেলিহান শিখা ও ধুয়ার কুণ্ডলি। পরে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট রওনা হয়। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে ১৫টি স্পিড বোট প্রস্তুত রাখা ছিল। এগুলো নিয়ে উদ্ধার কার্য চলার প্রস্তুতি চলছিল।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরাজুল হক টুটুল জানান, একটি প্রশিক্ষণ বিমানে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এতে বিমানটি তিন টুকরো হয়ে মহেশখালীর বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে।
(জাস্ট নিউজ/একে/১৭৫৯ঘ.)