ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপির স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

দেশ চলছে প্রবাসীদের রেমিটেন্সে, আগামী নির্বাচনে প্রবাশীরাই হবে অন্যতম চালিকা শক্তি

দেশ চলছে প্রবাসীদের রেমিটেন্সে, আগামী নির্বাচনে প্রবাশীরাই হবে অন্যতম চালিকা শক্তি

নিউইয়র্ক, ৩০ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : এখন দেশ চলছে প্রবাসীদের রেমিটেন্সর উপর। আর লুটপাতের সরকার প্রবাসীদের প্রেরিত এ অর্থের সুষ্ঠভাবে সদ্ব্যবহার না করে লুটপাতের মাধমে আত্মসাৎ করছে অভিযোগ করে রেমিটেন্সের যোগানদাতা প্রবাসীরা আগামী নির্বাচনে একটি অন্যতম ভুমিকা রাখতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ।

সোমবার (২৫শে ডিসেম্বর) গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপি আয়োজিত ৪৬তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ও সংবর্ধনা্ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। প্রায় দুই শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে স্থানীয় কাবাব কিং ফলচার্চ ভাজিনিয়ায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত সোহরাওয়ার্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এজেএম হোসাইন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট টকশো ব্যক্তিত্ব ও সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়া এবং ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ডঃ দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দীন ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে কখনো কোন স্বানীয় নির্বাচন পর্যন্ত সুষ্ঠ হয়নি, সেখানে জাতীয় নির্বাচন তো সুদুর পরাহত। জনগণকে শেখ হাসিনার অনেক ভয়। তাইতো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতি এত ভয়। আগামীতে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বিশেষ অতিথি আশরাফী পাপিয়া বলেন, রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে দুরে রাখতেই সরকার তাদের উপর একের পর এক মিথ্যা মামলা সাজাচ্ছে। গত ১০ বছরে যেমন একটি মামলাও প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে, তেমনি আগামী ১০০ বছরেও এসকল ভুয়া মামলা প্রমাণে ব্যর্থ হবে।

তিনি প্রশ্ন রাখেন সরকার অবৈধ সংসদ দিয়ে আইন পাশ করে উঁচু গলায় বলছে নির্বচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে কিন্তু সরকার নিজেতো নির্বাচিত নয়। তিনি মদনমোহন তর্কালঙ্কারের বিখ্যাত কবিতা -সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলির মত শেখ হাসিনা সকালে উঠিয়া বেগম খালেদা জিয়া আর তারেক রহমান কে গালি দিয়া চলি। তার এ গালি রাত অবধি ঘুমানো পর্যন্ত চলতে থাকে।

আশরাফী পাপিয়া প্রশ্ন রেখে বলেন এদিকে আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনা বলে বিএনপির কোন জনসমর্থন নাই আরেক দিকে তার ভয় শুধ বিএনপি তাহলে কেন? বিএনপির যদি কোন জনসর্মথন না থাকে তাহলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতা আসার আহবান জানান। তিনি উল্লেখ করেন বর্তমান অবৈধ হাসিনা সরকার দেশকে একটি লুটের রাজত্ব কায়েম করেছে হত্যা, গুম ব্যংক ডাকাতি, হলমার্ক ডেসটিনি সহ এহেন কোন কর্ম নেই তারা করেনি। হাসিনা পুত্র জয় এখানে বসে বসে বাংলাদেশের জনণের লক্ষ লক্ষ ডলার বেতন হাতিয়ে নিচ্ছে। বিএনপি ক্ষমতা এলে এসকল অপকর্মের বিচার অবশ্যই হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি অনতিবিলত্বে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যা্গ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রদানের আহবান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেওয়ান সালাউদ্দীন বলেন, প্রবাসীরা রেমিটেন্স প্রদান করে দেশের উন্নয়নের চাকা সচল রাখছে আর হাসিনা তার ক্রেডিট নিতে চাচেছ। বাংলাদেশের উন্নয়ন হওয়ার কথা খরশোস গতিতে হচ্ছে কচ্চপ গতিতে। দেশের গণতন্ত্র যেমন এ সরকারের হাতে নিহত হয়েছে তেমনি দেশের সকল সম্পদ ও লুণ্ঠন হয়েছে। যেভাবে একের পর এক ব্যাংক দেওলিয়া হচ্ছে আগামী না বাংলাদেশ ব্যংক এ দেওলিয়ার খাতায় নাম লেখায়। এ সরকারের হাতে যেমন জনগনের জান মাল নিরাপদ নয় তেমনি গনতন্ত্র ও নিরাপদ নয়। তিনি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। সে সাথে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আহবান জানান।

সাধারণ সম্পাদক এজেএম হোসাইন বলেন, দেশে এখন একটি লুটেরা সরকার বিরাজিত। বর্তমান আওয়ামী দুঃসাশনের বিভিন্ন সচিত্র প্রতিবেদন, এবং ঔক্যবদ্ধ আন্দোলন এর মাধ্যমের নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহবান জানান।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা ডঃ কামরুল ইসলাম, সহ সভাপতি সামছুদ্দীন মাহমুদ, সহ সভাপতি মাসুদুর রহমান, মিয়া মজনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম অশ্রু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন জুনিয়র, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহরিয়ার রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, ট্রেজারার মুনির হোসাইন, সহ সাংগঠনিক মোকলেসুর রহমান লিটন, সহ সাংগঠনিক আবদুস সবুর জুয়েল, সাংস্কতিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, যুব সম্পাদক মোঃ আল আমীন, প্রচার সম্পাদক মোঃ রাসেল আহমেদ, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সোহেল আহমেদ, কাইয়ুম চৌধুরী, মামুন খান, মোঃ জামান, সাভার উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান দেওয়ান বিপ্লব এবং বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা টিএম শহীদুল্লাহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন বিশিস্ট ব্যবসায়ী জাহিদ খান, সেলিম উদ্দিন, আরিফ হোসাইন, মেজর(অবঃ) আলম, আবদুস সালাম মৃধা, মাহফুজ মোল্লাহ, আসলাম মোল্লাহ, মোখলেসুর রহমান, রাজু আহমেদ, মোশারফ হোসাইন, মোঃ জামান, আরিফুর রহমান, মোঃ আবদুল কাদের, পলি হোসেন, স্যাম রিয়া, নাসরিন রহমান, লুৎফুন নাহার, সায়েদ সিদ্দিক, আরিফ ইসলাম, মোঃ নাছির উদ্দিন, রুবনা সিদ্দিক, মাহফুজ মাওলা, মোহাম্মদ আবুল কালাম, মোঃ আমীন, মোঃ আলামীন অভি, বাবুল হোসাইন, মোঃ ফরহাদ, জসিমউদ্দিন, হাবিবুর রহমান শাওন, শাথিল আহমেদ, শাকেরুল হক, সোহান মির্জা, কামাল পাশা, মোঃ মাহফুজ, মোঃ মানিক, নাসির আহমেদ, সোহেল আহমেদ রেজা, ফরহাদ হোসেন, শাহাদাত হোসাইন, রাজু হাসান, শফিউল সর্দার প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/ওটি/১০০৫ঘ.)