যুক্তরাষ্ট্রে ভাইসহ আ’লীগ নেতা আটক, আরো ৩ জনকে খুঁজছে পুলিশ

যুক্তরাষ্ট্রে ভাইসহ আ’লীগ নেতা আটক, আরো ৩ জনকে খুঁজছে পুলিশ

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার নিউইয়র্ক এসে পৌঁছায়। শেখ হাসিনা জেএফ কেনেডি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা আগে আটক হন নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী ও তার ভাই আবু সাঈদ চৌধুরী ওরফে কুটি চৌধুরী।

নিজ দলের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগে স্থানীয় সময় রবিবার রাত আড়াইটায় নিউইয়র্ক পুলিশ তাদের আটক করে।

আটকের সময় রাত আড়াইটায় এমদাদ চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের অনেকেই জ্যাকসন হাইটসের রাস্তায় অবস্থান করছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে নানা কর্মকাণ্ড ও অনুষ্ঠান বিষয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করছিলেন তিনি। এ সময় তিনি আটক হন।

নিউইয়র্ক পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্টুরেন্টে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা ওয়ালি হোসেনকে (৪৪) মারধর করেন ইমদাদ চৌধুরী ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহন হন ওয়ালি হোসেন।

সেই ঘটনার জেরে আজ ইমদাদ চৌধুরী ও তার ভাই আবু সাঈদ চৌধুরীকে আটক করে পুলিশ। একই ঘটনায় আরো তিনজনকে খুঁজছে পুলিশ।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা ওয়ালি হোসেনকে কেন মারধর করেছেন ইমদাদ সেই প্রশ্নে জানা গেছে- আওয়ামী লীগে পদপদবি দেবেন লোভ দেখিয়ে একশ্রেণির নেতারা নগদ অর্থ পকেটে পুরেছেন এমন অভিযোগ এনে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ওয়ালি হোসেন।

ওই স্ট্যাটাস দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ইমদাদ চৌধুরী তার ওপর হামলা চালায় বলে দাবি করেছেন ওয়ালি হোসেন।

ইমদাদের আটকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী এনাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর নিয়ে ব্যস্ত আমরা। এখন এসবে মন দেয়ার সুযোগ নেই। তবে কোনো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দলীয় ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগ এলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এদিকে জানা গেছে, আটকের কয়েক ঘণ্টা পর আওয়ামী লীগ নেতা ইমদাদ চৌধুরী ও তার ভাইকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। আদালতে হাজিরার শর্তে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এমআই