ওয়াশিংটনে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শহীদ জিয়াকে প্রথম রাষ্ট্রপতি বলায় লীগ সমর্থকদের হট্টগোল

ওয়াশিংটনে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শহীদ জিয়াকে প্রথম রাষ্ট্রপতি বলায় লীগ সমর্থকদের হট্টগোল

বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি (বাগডিসি) আয়োজনে ওয়াশিংটন ডিসিতে পালিত হয়েছে বিজয় দিবস। গত ২২ ডিসেম্বর প্রতিকী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন, নৃত্য ও গানের মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করেছে গ্রেটার ওয়াশিংটনের প্রবাসী বাংলাদেশীরা। সার্বজনীন এই অনুষ্ঠানে শহীদ জিয়াউর রহমানের উপর নির্মিত একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করতে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা হট্টগোল ও বাঁধার সৃষ্টি করে। ওই অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপরও একাধিক প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করে তাঁর দেয়া স্বাধীনতার ঘোষণার অডিও প্রচারের সাথে সাথে শুরু হয় হট্টগোল, আয়োজকের একটি অংশের প্রতি তেড়ে আসেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে যায় অনুষ্ঠান কার্যক্রম। পরে উপস্থিত কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে অনুষ্ঠান পূনরায় শুরু হয়।

দিবসের শুরুতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে বাগডিসি‘র বিজয় দিবসের প্রতীকি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে আয়োজক সংগঠন বাগডিসি। এছাড়াও স্থানীয় রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও গানের বিভিন্ন পরিবেশনায় নৃত্য পরিবেশনা করেন ভার্জিনিয়ার সর্ব কনিষ্ঠ নৃত্য শিল্পী মায়া।

পরিবেশনা করা হয় একটি হৃদয়বীণা পরিবেশনা ‘দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা’। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণে ছিলো বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী রথীন্দ্র নাথ রায়ের সঙ্গিত পরিবেশনা। এছাড়া অনুষ্ঠানস্থলে ছিলো দেশীয় পোশাক ও খাবারের বেশ কিছু স্টল।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন -ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা বিভাগের আনিস আহমেদ ও ফকির সেলিম, বাংলাদেশ দুতাবাসের কাউন্সিলর সাহা আলম (খোকন), জিয়াউদ্দিন আহমেদ, আলাউদ্দিন, হারুন চৌধুরী, শরিফ আহমেদ, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী সারিকুল ইসলামসহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন, শতরুপা বড়ুয়া ও শামীম চৌধুরী।

এদিকে বাগডিসি নিরপেক্ষভাবে সকল দলের সমর্থকদের অংশগ্রহণে সার্বজনীন অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দিলেও তাদের অবস্থানে অটুট থাকতে পারেনি। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে উল্লেখ করে তাঁর দেয়া স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করে তারাই আবার এঘটনায় গভীর দু:খ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন। বাগডিসির সভাপতি করিম সালাহউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আবু সরকার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই দুঃখ প্রকাশ করেন বলে জানা গেছে।