নিউইয়র্কে নাগরিক সমাজের মুক্ত আলোচনা

খালেদা জিয়াকে কারাগারে প্রেরণ দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র

খালেদা জিয়াকে কারাগারে প্রেরণ দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র

যুক্তরাষ্ট্র, ২০ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে প্রেরণ বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিরোধী দলের অভাবে বাংলাদেশ একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তারা।

বক্তারা আরো বলেন, কার্যকর বিরোধী দলের অভাবে ব্যাংক ডাকাতি মহামারি আকার ধারণ করেছে, পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে, অব্যাহত গুম ও খুনে বাংলাদেশ আতংকের রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ প্লাজায় প্রবাসী নাগরিক সমাজ আয়োজিত বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের উপর আয়োজিত মুক্ত আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এ সময় তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও দেশের শীর্ষ স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেত্রীকে ভিত্তিহীন মামলায় অভিযুক্ত করে কারাগারের প্রেরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন কেউ কেউ। বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করবার জন্য প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতের প্রত্যক্ষ মদদে সরকার একাজে হাত দিয়েছে বলে মতামত প্রকাশ করেন অনেকে। ভারতের এই আগ্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম করার আহ্বান জানান বক্তারা। এসময় তারা বেগম খালেদা জিয়ার অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ভেঙ্গে পড়েছে মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, বিরোধী দলকে নির্মূলই আজ সরকারের প্রধান কৌশল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা রাষ্ট্র ব্যবস্থার সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। এজন্য দলমত নির্বিশেষে সরকারের এ ফ্যাসিবাদি মনোভাবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার আহ্বান জানান বক্তারা।

মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার ফরহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সাংবাদিক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মঞ্জুর আহমেদ, লং আইল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শওকত আলী, লেখিকা ও মানবাধিকার কর্মী ডা. মিনা ফারাহ, মাওলানা ভাষানী ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মুক্তিযোদ্ধা আলী ইমাম, বিশিষ্ট লেখক মাহমুদ রেজা চৌধুরী, প্রবীন সাংবাদিক কাজী শামসুল হক, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী ইমরান আনসারী, কমিউনিটি এক্টিবিস্ট আজহারুল হক মিলন, শ্রমিক নেতা জামান তপন, এডভোকেট মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে নিপীড়ন চালানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা। একজন সংখ্যালঘু বিচারপতিকে জোর করে পদত্যাগ করানো জাতির ইতিহাসে কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।

(জাস্ট নিউজ/প্রতিনিধি/একে/২২০৬ঘ.)