স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিউ ইংল্যান্ড বিএনপির আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিউ ইংল্যান্ড বিএনপির আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

ঢাকা, ২ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বস্টন নিউ ইংল্যান্ড বিএনপি আয়োজন করে বর্ণাঢ্য আলোচনা ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শুক্রবার (মার্চ ৩০) অ্যালডার্সগেট ইউনাইটেড মেথডিস্ট চার্চ এ জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন নব নিৰ্বাচিত নিউ ইংল্যান্ড বিএনপি সভাপতি সৈয়দ বদরে আলম সাইফুল! প্রধান অতিথি ছিলেন নিউ ইংল্যান্ড বিএনপির উপদেষ্টা কাজী নুরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন আব্দুল হক, জালাল আহমেদ এবং প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার মুনসুর। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম টিটু।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তৃতা দেন নিউ ইংল্যান্ড বিএনপির বলিষ্ট নেতা হানিফ মোল্ল্যা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ স্বাধীন করেনি, স্বাধীন করেছে ছাত্রজনতা, ক্ষেতমুজুরে এবং সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। এর পরে বক্তিতা দেন যুব দলের সাংগঠিক সম্পাদক আব্দুল মতিন। তিনি তার নিজের লেখা একটি কবিতা ‘স্বাধীনাত তুমি কোথায়’ পাঠ করেন।

অনুষ্ঠানে সবার দৃষ্টি আকর্ষণকরে নব গঠিত যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহদী হাসান লিঙ্কন এর বক্তিতাটি। তার বক্তৃতা মূল বিষয় ছিল আমরা কেন এইদিনটিকে স্মরণ করি ও স্বীকৃতি দেই। তিনি বলেন ‘১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী এই দেশের সাধারণ জনগণের উপর হামলা চালিয়েছিলো। আমরা স্মরণ করি ওই দিন ২৬শে মার্চ রাতে, যখন জাতির কাছে পথ দেখানোর কোনো নেতা ছিলোনা, তখন একজন মেজর জেনেরেল সাহস করে এগিয়ে এসে বাংলাদেশের মানুষের মনে সাহস জুগিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমরা স্মরণ করি ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ, আবাল বৃদ্ধ বনিতা, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এখন কেনো আমাদের তাদেরকে স্বীকৃতি দিতে হবে। স্বীকৃতি দিতে হবে এইজন্য যে, আমরা যদি স্বীকৃতি না দেই, তাহলে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে পারবোনা। বাংলাদেশের বর্তমান পলিটিক্যাল প্রবলেম এইজন্য যে, আমরা শুধু এই দিনটিকে আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রেখেছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ হয়েছিলো পাকিস্তানের পলিটিক্যাল শাসনের বিরুদ্ধে। আমরা এটা স্বীকৃতি দেইনা যে, যখন জাতি নেতৃত্ব হারা ছিলো, যখন একজন মানুষ সারা জাতিকে পথ দেখিয়েছিলেন। আমরা যদি এই বিষয় গুলি স্বীকৃতি না দেই, তাহলে আমরা আজকের বর্তমান পলিটিক্যাল সিচুয়েশন বুজতে পারবোনা এবং ভবিষ্যতে আমাদের কি করতে হবে সেটা আমরা বুঝতে পারবোনা।

অনুষ্ঠানের শেষেরদিকে বক্তৃতা দেন প্রধান অতিথি নিউ ইংল্যান্ড বিএনপির উপদেষ্টা কাজী নুরুজ্জামান। তিনি একটি স্লোগান দিয়ে তার বক্তব্য শুরু করেন ‘জেলের তালা ভাঙবো, খালেদা জিয়াকে আনবো’। তিনি একমত প্রকাশ করেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানের বক্তব্যের সাথে।

তিনি আরো বলেন ‘আজ আমি এসেছি আপনাদের কাছে একটি সাক্ষ্য দিতে, সেটি হলো আমি ৭ই মার্চের সেই রেস কোর্সের জনসভায় উপস্থিত ছিলাম যখন তৎকালীন নেতা শেখ মুজিবর রহমান ভাষণ দিয়েছিলেন। সুতরাং যারা মিথ্যা কথা বলে তাদেরকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিবেন। তিনি মূলত বুঝাতে চেয়েছেন যে, যারা শহীদ জিয়াকে সাধীনতার ঘোষক বলতে অস্বীকার করে তাদের।

অনুষ্ঠানের শেষে বক্তৃতা দেন নিউ ইংল্যান্ড বিএনপির সভাপতি সৈয়দ বদরে আলম সাইফুল। তিনি ‘বিসমিল্লাহ’ বলে তাঁর ভাষণ শুরু করেন এবং নোয়াখালীর আওয়ামী লীগের একটা জনসভার মুসলিম বিরুধী আচরণ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন ‘বেশ কিছুদিন আগে ফেসবুকে দেখেছিলাম নোয়াখালীর কোনো এক আওয়ামী লীগের নেতার বক্তৃতার সময় পাশের মসজিদ থেকে আযান হচ্ছিলো, তিনি বিরক্ত বোধ করেছেন এবং বলেছেন আমাদের মিটিং দেখলেই আযান-টাজান শুরু হয়ে যায়। আমি বলবো যে, আওয়ামী লীগ থাকবেনা, আওয়ামী লীগের নেতারাও থাকবেনা কিন্ত এই আযান পৃথিবী যতদিন আছে ততদিন থাকবে। সুরঞ্জিত সেন বলেছিলো মাদ্রাসা বন্দ করে দিবো, সুরঞ্জিত সেন নাই কিন্ত মাদ্রাসা এখনো আছে। এবং পৃথিবী যতদিন থাকবে মসজিদ মাদ্রাসা ততদিন থাকবে।

সবার শেষে পরিবেশিত হয়েছিলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/০৯৫২ঘ.)