বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে তারেক রহমানের যুগান্তকারী পদক্ষেপ দেশে-বিদেশে প্রশংসিত

বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে তারেক রহমানের যুগান্তকারী পদক্ষেপ দেশে-বিদেশে প্রশংসিত

জুয়েল

বাংলাদেশের অস্তিত্বের সাথে যে নামটি জড়িয়ে আছে তিনি হলেন স্বাধীনতার মহান ঘোষক, বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা,বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা, আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আর তার সহধর্মিণী, বাংলাদেশে যিনি গণতন্ত্রের মাতা হিসেবে সর্বমহলে স্বীকৃত, তিন বারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। আপোষহীনতা যার অস্থি ও মজ্জার সাথে জড়িত সেই নেত্রীকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হিংসা বশীভূত হয়ে কারান্তরীন করে রাখা হয় দুই বছরের অধিক।

আর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারণ্যের অহংকার জননেতা তারেক রহমানকে নির্যাতনের স্ট্রীম রোলার চালিয়ে পঙ্গু করে, সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আওয়ামী ও তার দেশী-বিদেশী দোসররা সব ষড়যন্ত্রের ষোলকলা সম্পন্ন করে। আর সেই সাথে জাতীয় নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত লক্ষ-লক্ষ মামলা, হামলা, নির্যাতন, খুন ও গুমসহ সবধরনের আয়োজন ধারাবাহিক ভাবে চালিয়ে যায়, যার ফলশ্রুতিতে জোর পূর্বক ক্ষমতায় থাকে আর পরবর্তীতে রাতের ভোটে পুনরায় ক্ষমতায় আসীন হয়, যা দিবালোকের মতো স্পষ্ট এবং বিশ্বজুড়ে এসব নির্বাচন তামাশার নির্বাচন হিসেবে সমাদৃত হয়।

বিএনপিসহ সমমনা সবদল এই নির্বাচন প্রত্যাখান করে। বিদেশী মিডিয়াগুলি এই নির্বাচনের নজিরবিহীন কারচুপি ও ভোটার শূন্য কেন্দ্রের খবর প্রচার করে।তারপরও এই ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ক্ষমতা আকঁড়ে ধরে বসে আছে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে হত্যা করে।শহীদ জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে এই সরকার মানসিক নির্যাতন করে অকালে হত্যা করে।ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমের মতো শত-শত নেতা কর্মী গুম ও ক্রসফায়ারের শিকার হয়।একসময় বাংলাদেশের কারাগারগুলোতো স্থান সংকুলানের সংকট দেখা দেয় বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে গণগ্রেফতারের কারণে।

সরকারের নতুন আবিষ্কার গায়েবী মামলায় বিগত নির্বাচনের আগে প্রতিটি সেন্টার পর্যায়ে নেতাবৃন্দ, এজেন্ট থেকে শুরু করে মামলা, হামলা, নির্যাতন আর গ্রেফতারের মাধ্যমে দিশেহারা করার নতুন প্ল্যান হাতে নেয়।তারপরও দেশনেত্রীর দৃঢ় মনোবল, চিকিৎসাধীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত, প্রজ্ঞা, মেধা দিয়ে শহীদ জিয়ার সুযোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে তার আদর্শে বলিয়ান হয়ে দলকে ভাঙ্গার আওয়ামী দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকে রুখে দেন এবং সেই কঠিন পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটিয়ে তৃণমূলসহ দলের সর্বস্তরে নেতাকর্মীদের মনকে উজ্জীবিত করেন।

ইতিহাস সাক্ষী সর্বকালের সর্বোচ্চ নির্যাতনের পরও এই দলের একটি নেতাকর্মী দলচ্যুত হয়নি জুলুম ও নির্যাতনের মুখোমুখি অবস্থান করেও। তার অন্যতম কারণ সেই দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নীতি,শহীদ জিয়ার আদর্শ আর বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মজলুম জননেতা জনাব তারেক রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব।

দল যখন এত নির্যাতন সহ্য করে ১২ বছর থেকে ক্ষমতার বাহিরে অবস্থান করছে ঠিক সেই মুহুর্তে বিশ্বজুড়ে আসে ভয়াবহ মহামারী করোনা।এই বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দেন বাংলাদেশসহ বর্হিবিশ্বে অবস্থানকারী সকল জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীসহ শুভাকাঙ্ক্ষীদের বর্তমান বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে যার যা আছে তাই নিয়ে লকডাউন চলাকালে দেশের সর্বস্তরের অসহায় জনসাধারণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সারা বাংলাদেশের বিএনপি ও তার সকল অঙ্গ, সহযোগী সংগঠন একযোগে কাজ শুরু করে ৬৮ হাজার গ্রামের প্রতিটি পাড়া মহল্লায়।

যখন দেশব্যাপী আওয়ামী ত্রান লুঠেরার ছবি বিভিন্ন মিডিয়াতে একে একে প্রকাশিত হতে থাকে তখন বিএনপি দেশের প্রায় দুই কোটির অধিক পরিবারের হাতে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য,ঔষধ এবং চিকিৎসকদের সুরক্ষা সামগ্রী পৌঁছে দেয়।ছাত্রদল,যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা অনেকেই তাদের সখের মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন,নকেউ গরু, মহিষ, ছাগল বিক্রি করে অসহায় ও ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায় যা সোশ্যাল মিডিয়া ফেইসবুকে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয় এবং সত্য ও ন্যায়ের পথে বলিয়ান যেসব সাংবাদিক তাদের কলমের মাধ্যমে তা ভেসে উঠে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায়।প্রবাস থেকে হাজার হাজার বিএনপির নেতাকর্মী লক্ষ লক্ষ টাকা পাঠায় নিজ নিজ এলাকায় ত্রান বিতরণের জন্য।

সেই সাথে নিজ নিজ অবস্থানকারী দেশেও যেসব বাংলাদেশী লকডাউনের মধ্যে কর্মহীন হয়ে অসহায় হয়ে পড়ে তাদের পাশে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে দাঁড়ায়, সেই সাথে মানবতাবাদী ডাক্তার ও নার্সদের মধ্যে যারা জীবনবাজী রেখে চিকিৎসা প্রদান করছেন তাদের জন্য উপহার স্বরুপ খাদ্য পৌঁছে দেয়া হয়।তারই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাজ্য জুড়ে চলে এনএইচএসের ডাক্তার ও নার্সের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী উপহার হিসেবে বিতরণ।

তারেক রহমানের চৌকস নেতৃত্বে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বর্হিবিশ্বে জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীরা যে অবদান রেখেছেন বর্তমান পরিস্থিতিতে তা বিশ্বের ইতিহাসে রোল মডেল ও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।যা সম্ভব হয়েছে শহীদ জিয়ার আদর্শের সুযোগ্য উত্তরসূরী জননেতা তারেক রহমানের কারিশম্যাটিক মেধা-মনন ও যেগ্য নেতৃত্বের কারণে।শহীদ জিয়া যেমন বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করে আন্তর্জাতিক নেতা হিসেবে স্বীকৃত হয়েছিলেন ঠিক তেমনি বর্তমান প্রেক্ষাপটে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশের অসহায় মানুষের মুখে আহার তুলে দিয়ে বিএনপির জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রমাণ দিয়েছেন ও দেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তার নির্দেশে দলীয় নেতাকর্মীরা যে ভূমিকা রেখেছেন তা ইতিহাসে কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে কেননা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় প্রশাসন যুক্তরাজ্যসহ সবাই অবগত।তিনি যে বাস্তবে গণমানুষের নেতা ও বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সবার দুঃখে ব্যথিত মনের মানুষ তার প্রমাণ রেখেছেন দেশের বাহিরে অসহায় প্রবাসীদের ত্রাণ ও চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিতদের খাদ্য উপহার দিয়ে।এটা নিঃসন্দেহে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছিল এবং যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিল দেশের সম্মান বৃদ্ধিকল্পে।কিন্তু সরকারের পা'চাটা কিছু হলুদ মিডিয়া তারেক রহমানের এই ঐতিহাসিক অবদানকে খাটো করার জন্য মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে, তিনি নাকি নিজ দেশ রেখে যুক্তরাজ্যে শুধু এনএইচএসে খাদ্য দিচ্ছেন, ঐসব হলুদ সাংবাদিকদের প্রতি প্রশ্ন আপনারা কি চোখ থাকতে অন্ধ?

দেশে তারেক রহমানের নির্দেশে ত্রান বিতরণ যেখানে প্রতিদিন দৃশ্যমান আর প্রতিদিন তিনি নিজে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যেকটা জিনিস মনিটরিং করছেন, তারপরও এমন মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে নিজের বিবেকের কাছে লজ্জা লাগেনা ঐসব সাংবাদিক নামধারী কিছু সংখ্যক দালালদের?

আর কত এই অবৈধ সরকারের পক্ষে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করবেন বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য। বিনাভোটের সরকার আর তার পা'চাটা হলুদ মিডিয়া বিএনপির বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারবেনা। কারণ এদেশের ১৭ কোটি মানুষের হৃদয়ে বিএনপির অবস্থান।ষড়যন্ত্রের নীলনকশা প্রণয়ন করে শহীদ জিয়ার গড়া দলকে আর তাদের সৈনিকদের কখনো ধ্বংস করা যাবেনা।বিএনপি আপন মহিমায় ঘুরে দাঁড়িয়ে জনগণের সরকার খুব শীঘ্রই গঠন করবে। আর মানুষের মৌলিক অধিকার, গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনবে ইনশাআল্লাহ।