ডিজিটাল আইন করে সরকার জনগণকে মৃত সৈনিক বানিয়ে রাখতে চায়: আনু মুহাম্মদ

ডিজিটাল আইন করে সরকার জনগণকে মৃত সৈনিক বানিয়ে রাখতে চায়: আনু মুহাম্মদ

ঢাকা, ৬ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, সরকার নিজেদের কর্মকাণ্ডে ভীত সন্তস্ত্র বলেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে। কারণ তাদের নিজেদের মধ্যেই অপরাধী মন কাজ করছে। তারা এসব কাজের বৈধতা দিতে ডিজটিাল আইন করেছে। তবে এনিয়ে দেশের জনগণের একটি অংশের নিরবতা অস্বাভাবিক।

তিনি অভিযোগ করেন, সরকার জনগণকে এধরণের আইন কালাকানুন করে মৃত সৈনিকে পরিনত করতে চায়। তারা চায় জনগণকে মৃত সৈনিক বানিয়ে রাখতে। আর এর ফাঁকে তারা ভুড়িভোজের উৎসবে মেতে উঠবে। তবে এই আইনের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য তিনি সম্পাদক পরিষদকে ধন্যবাদ জানান।

শনিবার গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম।

মণিসিংহ-ফরহাদ স্মৃতি ট্রাস্ট্রের মনির আজাদ সেমিনার কক্ষে ‘গণবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: সংবাদমাধ্যম এবং নাগরিকদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

প্রারম্ভিক বক্তব্য উত্থাপন করেন গণসংহতি আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটিকে নিবর্তনমূলক বললেও তো কম বলা হয়, এটা রীতিমত একটা সন্ত্রাসী আইন। তিনি জানান, তথ্যপ্রযুক্তির কারণে জনগণের বাকস্বাধীনতার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তাকে রুদ্ধ করাই এই আইনের লক্ষ্য। তাছাড়া জামিন পাবার মত মৌলিক অধিকারকে এই আইনের একাধিক ধারার মাধ্যমে বাতিল করা হয়েছে। এটা দেশের সংবিধান, আইনের চেতনা বা মানবাধিকারের বিরোধী।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৮৩৫ঘ.)