খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে যা বলল মেডিক্যাল বোর্ড

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে যা বলল মেডিক্যাল বোর্ড

ঢাকা, ৭ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান ফাইলপত্র পর্যালোচনা করেছেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা। এসময় মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যদের সাথে ছিলেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মামুন রহমান।

রবিবার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে বিএসএমএমইউর কেবিন ব্লকে গিয়ে তারা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ফাইল পর্যবেক্ষণ ও আলোচনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুনও মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যদের সাথে ছিলেন।

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান ফাইলপত্র পর্যালোচনা করেছেন এবং পুরনো মেডিসিনই আপাতত চলবে বলে জানিয়েছেন। আগামীকাল আবারো চিকিৎসকরা বেগম জিয়াকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন।

এ ব্যাপারে মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ডা. আব্দুল জলিল চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা তার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে পুরোপুরি আলাপ করব। কোনো পরীক্ষা লাগলে সেটি পরে জানানো হবে।

শনিবার বেগম খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এনে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের কেবিন ব্লকের ৬ তলায় ৬১১ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়। তার আগে ওই মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। সেদিন জানানো হয়, রবিবার দুপুরে মেডিকেল বোর্ড বেগম খালেদা জিয়াকে দেখে তার চিকিৎসার ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে।

বেগম খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডে যে পাঁচ চিকিৎসক আছেন এদের দুইজন আগের মেডিক্যাল বোর্ডে ছিলেন। এরা দুইজন হলেন মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা: আব্দুল জলিল চৌধুরী (মেডিসিন), ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের চলতি দায়িত্বে থাকা সহযোগী অধ্যাপক ডা: বদরুন্নেসা আহমেদ। অন্য যে তিনজন নতুন মেডিক্যাল বোর্ডে যুক্ত হয়েছেন এরা হলেন রিউমাটোলজির অধ্যাপক ডা: সৈয়দ আতিকুল হক, কার্ডিওলজির অধ্যাপক ডা: সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জি এবং অর্থোপেডিকস বিভাগের অধ্যাপক ডা: নুকুল কুমার দত্ত।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৪৩৫ঘ.)