৫ জানুয়ারি সমাবেশ করবে বিএনপি : রিজভী

৫ জানুয়ারি সমাবেশ করবে বিএনপি : রিজভী

ঢাকা, ৩০ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : ২০১৪ সালের একদলীয় নির্বাচনের বর্ষপূর্তি পালনে আগামী ৫ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি। দিনটি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে দলটি। শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডের গাইড হাউসে জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ কর্মসূচির কথা জানান।

শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আগামী ৫ জানুয়ারি আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার কর্মসূচি নিয়েছি। আমরা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠিও দিয়েছি। ওইদিনে গণতন্ত্রকে হরণ করা হয়েছিলো। সেই দিবসটিতে সমাবেশ করে আমরা এর প্রতিবাদ জানাব। এই সমাবেশ সফল করার জন্য দলের নেতা-কর্মীসহ সবাইকে উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানান তিনি।

জাসাসের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রিজভী আহমেদ আরো বলেন, সাংস্কৃতিক ঘাটতির কারণেই দেশে আজ অত্যাচার নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলছে। প্রতিনিয়ত গুম-খুনের কারণে সাংস্কৃতিক চর্চা করতে পারছে না বর্তমান প্রজন্ম। দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বার্থে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন রোকনের পরিচালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ার, কবি আবদুল হাই শিকদার, রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান, সহসভাপতি বাবুল আহমেদ, ওবায়দুর রহমান চন্দন, সালাহউদ্দিন মোল্লা, জাহাঙ্গীর আলম রিপন, রফিকুল ইসলাম, আহসানউল্লাহ চৌধুরী, মীর সানাউল হক, হাসান চৌধুরী, শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা প্রমুখ।

বিজয়ের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে স্বদেশী সংস্কৃতিকে এগিয়ে নেয়ার আন্দোলনে সবাইকে কাজ করার আহবান জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী আহমেদ দুঃশাসন, নৈরাজ্যময় সাগরের মধ্যে আজ দেশের জনগণ পড়ে আছে। এর ফলে সমাজে অপসংস্কৃতি ঢুকছে। দেশে আজ সংঘাতের রাজত্ব চলছে। গণতন্ত্রের মূর্ত প্রতীক সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির কালিমা দেয়া হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে দিনের পর দিন তার নামে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।

রিজভী আহমেদ বলেন- ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন, প্রার্থীবিহীন নির্বাচনের পর মানুষের বাক স্বাধীনতা, মানুষের চলাচলের স্বাধীনতা, নির্বিঘ্নে বসবাসের স্বাধীনতা, আপনার স্বাধীনতা, আপনার সন্তানদের নিরাপত্তা সব কেড়ে নিয়েছে শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আজকে সকল ধ্বংসের মূলে যে সরকার তার পতন ছাড়া আমাদের আর কিছুই থাকবে না।

তিনি বলেন, নদীর স্রোত না থাকলে যেমন বদ্ধ থাকে, তেমনি এ সরকার ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে করতে গণতন্ত্রকে বদ্ধ করেছে। নদীর বদ্ধ অবস্থা কাটলে যেমন প্রবল স্রোত আসে, ঠিক তেমনি গণতন্ত্রের এ বদ্ধ অবস্থা কেটে মানুষের ভোটাধিকার, মানবাধিকার, নিরাপত্তা, দেশের টেকসই উন্নয়নের স্রোত আনতে হবে।

রিজভী আহমেদ বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে নিজে যুদ্ধ করে আমাদের যেমন বিজয় এনে দিয়েছেন-তা অম্লান রাখতে হবে এবং বর্তমান নৈরাজ্যময়, দুঃশাসন, গণতন্ত্রহীন পরিবেশ থেকে দেশের জনগণকে মুক্ত করতে আর একটি বিজয় অনতে হবে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে।

আলোচনা সভার পর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা করে জাসাস শিল্পীরা।

(জাস্ট নিউজ/একে/২২১২ঘ.)