প্রধানমন্ত্রীর ভোট চাওয়া তামাশা : রিজভী আহমেদ

প্রধানমন্ত্রীর ভোট চাওয়া তামাশা : রিজভী আহমেদ

ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : যশোরের জনসভায় নৌকা প্রতীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভোট চাওয়াকে ‘জনগণের সঙ্গে তামাশা’ মন্তব্য করে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার আবার ভোট চাওয়ার দরকার কী? আপনি তো গত পরশুদিনই একটা অদ্ভুত নির্বাচন করলেন, ভোটাররা নাই, ভোটাররা যাওয়ার আগেই ব্যালট বাক্স পূর্ণ হয়ে গেছে, নৌকার মার্কায় সিল পড়ে গেছে। আপনার তো ভোট চাওয়ার দরকার নাই। টিভিতে একটা ঘোষণা দিলেই হয় আগামী পাঁচ বছরের জন্য আপনি থাকতে চান।’

তিনি বলেন, উনি (শেখ হাসিনা) বিশ্ববাসীকে দেখাতে চান যে প্রধানমন্ত্রী ভোট চাইছেন। ভোট চাইলে পরে বিশ্ববাসী জানবে যে সামনে একটি নির্বাচন হচ্ছে সেখানে প্রধানমন্ত্রী ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। উনি তো জনগণকেই তালাক দিয়েছেন, ত্যাজ্য করেছেন, বিচ্ছেদ ঘটিয়েছেন। এটা প্রধানমন্ত্রীর তামাশা ছাড়া আর কিছুই না।

রবিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে রাজশাহী ইউনির্ভাসিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ‘রক্তঝরা মতিহার: মৃত্যুঞ্জয়ী রুহুল কবির রিজভী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, শিক্ষামন্ত্রী সহনীয় মাত্রায় দুর্নীতির কথা বলেছেন। হয়ত ক্ষোভে মুখ ফসকে উনি (শিক্ষামন্ত্রী) এটা বলে ফেলেছেন যে, সহনীয় মাত্রায় ঘুষ খান। কিন্তু এটাকে স্বাস্টেইসিয়েট করার জন্য তিনি অতীত থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার উদাহরণ বের করার চেষ্টা করছেন। ১৯৬১ সালেও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে উনি বলতে পারেন।

অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহারের সভাপতিত্বে ও মল্লিক মো. মোজাম্মেল কবীরের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, রমেশ চন্দ্র দত্তসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক নেতারা।

সরকার ‘উপনিবেশিক শক্তি’র মতো দেশের মানুষকে শোষণ করছে এমন অভিযোগ করে আবদুল মঈন খান বলেন, আমি মাঝে মধ্যে পত্রিকায় দেখি, বাংলাদেশ নাকি বিশ্বের রোল মডেল? কিসের রোল মডেল-বলতে কী লজ্জ্বা হয় না। আমরা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছি, আমরা উন্নয়নের নামে এদেশে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছি। আমরা এদেশের দরিদ্র মানুষের উন্নয়নের নামে গুটিকয়েক মানুষ যারা সরকারের ওপরে নির্ভরশীল তাদের উন্নয়ন নিশ্চিত করেছি। তারপরে আমরা কোন লজ্জ্বায় বলি বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল? এসব কথা বলতে হবে। আর চুপ করে থাকলে চলবে না। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সকলকে ‘মুক্তিযুদ্ধের মতো একতাবদ্ধ’ হয়ে সংগ্রাম করার আহবানও জানান মঈন খান।

(জাস্ট নিউজ/একে/২২৩০ঘ.)