সিধা পথে আসুন, অন্য কোনো পথ খোলা নেই: সরকারকে মির্জা আলমগীর

সিধা পথে আসুন, অন্য কোনো পথ খোলা নেই: সরকারকে মির্জা আলমগীর

ঢাকা, ২০ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সরকারকে অবিলম্বে সিধা পথে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। কিন্তু সেটা হতে হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে।

শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনের স্বাধীনতা হলে এক সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা।

সংগঠনের সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান এতে সভাপতিত্ব করেন।

নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের দিকে ইঙ্গিত করে ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন আজকে বিভক্ত, তারা (নির্বাচন কমিশন) এখন ভিন্ন কথা বলছে। সেখানে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। একজন কমিশনার যে প্রস্তাব দিয়েছেন সেই প্রস্তাবকে অন্য কমিশনার বলছে অসাংবিধানিক। আমরা বলব নির্বাচন কমিশনকে হতে হবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন। তা না হলে দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবেনা।

সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপিরস্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিশ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান খান, যুব জাগপার নেতা প্রকৌশলী রাশেদ প্রধান সহ অনেকেই।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলার সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। বহু নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। অনেকেই ইতিমধ্যে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। এভাবে একটি দলের ওপর নির্যাতন করলে কীভাবে সুষ্ঠু রাজনীতি হয়। নির্বাচনই বা সুষ্ঠু কেমনে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বলছি- অবিলম্বে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সিধা পথে আসুন। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপে বসুন। তা না হলে অন্য কোনো পথ নেই। এই একটাই পথ।

বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি করার পর এখন তাকে সুচিকিৎসাও দেয়া হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আজকে গণতন্ত্রের কথা বলার কারণেই সরকারের অনিয়মের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার কারণেই তাকে জেল খানায় বন্দি করা হয়েছে মিথ্যা মামলা।

(জাস্ট নিউজ/এমজে/১৪৩০ঘ.)