নেতাকর্মীদের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান বিএনপির

নেতাকর্মীদের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান বিএনপির

ঢাকা, ২৯ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন নিশ্চিতের জন্য আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

সোমবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতাকর্মীদের প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান।

রিজভী আহমেদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মাধ্যমেই নিশ্চিত হবে প্রকৃত নির্বাচনী পরিবেশ। তার নেতৃত্বেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বিএনপি।

রিজভী আহমেদ আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে ভোটারদের ভোটাধিকারের কবর রচিত হবে। তার অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ মানেই তা হবে স্বেচ্ছায় গণতন্ত্রের মৃত্যু ডেকে আনা।

তিনি বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ। আর গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত সারবস্তু হচ্ছে- মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। কিন্তু আওয়ামী লীগের সময় কাটে বিরোধীদের প্রতি বিদ্বেষ প্রদর্শন করে, অবিরাম কুৎসিত অসংযমী বাক্যবিলাসে। সন্ত্রাসের পরিচর্যা ও বিস্তার আওয়ামী লীগের চারিত্র্যধর্ম।’

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস একটি ‘ক্রাইম স্টোরি’ ছাড়া আর কিছুই নয়। শুধু বিরোধী দলই নয়, সরকারবিরোধী সমালোচনায় দলনিরপেক্ষ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিপাকে ফেলার জন্য ওঁৎ পেতে থাকে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েই তারা ক্ষান্ত হয়নি। এখন চলছে প্রতিবাদী বিশিষ্টজনদের ওপর স্টিমরোলার। সরকারের পক্ষে কোনো জনমত নেই বলেই ভোটারবিহীন সরকারের মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে বন্দুকের জোরে আদালতকে কব্জায় নিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা হয়েছে। তারেক রহমানকে দণ্ড দেয়া হয়েছে।

রিজভী আহমেদ বলেন, ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে গ্রেফতারের পরও হয়রানি ও নির্যাতনের তীব্রতা হ্রাস পায়নি। এখন চলছে প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ওপর হানাদারি আক্রমণ।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলার নিন্দা জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের লোকজনদের জানমালের ওপর চলছে সরকারি ক্যাডারদের বেপরোয়া আগ্রাসন। তার গড়া প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি জনগণের। তার পরও এই প্রতিষ্ঠানের জায়গা-জমি দখল করতে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে দলীয় মাস্তানদের।

‘বিনা অপরাধে র‌্যাবের গুলিতে পা হারানো গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিমনের ওপর আওয়ামী ক্যাডারদের কাপুরুষোচিত শারীরিক আক্রমণে ভেঙে ফেলা হয়েছে তার হাত-পা।’

রিজভী আহমেদ বলেন, সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ওপর হামলা ও লাঞ্ছিতকারীদের এখনও আইনের আওতায় আনা হয়নি। বরং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে থানায় একাধিকবার মামলা করতে যাওয়া হলেও মামলা নেয়া হয়নি। সরকারের অপশাসনের সমালোচনা করার জন্যই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ হামলার তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে সন্ত্রাসী ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে শাস্তির দাবি জানান রিজভী আহমেদ।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৩৩৫ঘ.)