সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐক্যফ্রন্টের জনসভা শুরু

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐক্যফ্রন্টের জনসভা শুরু

ঢাকা, ৬ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : সংসদ ভেঙে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ৭ দফা দাবিতে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভা শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এই সভা চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। কোরআন তিলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা নেসার উদ্দিন। এর পর সদ্য প্রয়াত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

এদিকে সকাল থেকেই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে জড়ো হতে থাকেন জোটের নেতাকর্মীরা। রাজধানীসহ ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে সমাবেশস্থল মুখর করে রেখেছেন। তাদের হাতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রধাননেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মজলুম জননেতা তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি সহ ছবি সম্বলিত ফেস্টুনও দেখা যায়। দেখা যায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগানযুক্ত ব্যানারও। এ ছাড়া গণসংগীতও পরিবেশন করা হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা ‘বন্দি আছে আমার মা, ঘরে ফিরে যাবে না’, ‘হামলা করে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন।

ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন জনসভায় প্রধান অতিথি থাকবেন আর প্রধান আলোচক থাকবেন যুক্তফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জনসভায় প্রথমবারের মতো কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী যোগ দেন।

এর আগে আজকের জনসভার অনুমতি নিতে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কার্যালয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর ২৪ শর্তে জনসভার অনুমতি দেয় পুলিশ।

অনুমতি পাওয়ার পরই গতকাল জনসভার মাঠ পরিদর্শন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানসহ দলটির নেতারা।

এ সময় আমানউল্লাহ আমান বলেন, জনসভায় রাজধানীসহ ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগ দেবেন। স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভা হবে এটি।

এদিকে, আজ মঙ্গলবারের জনসভার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্ট মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সংলাপে বিঘ্ন ঘটে এমন কোনো কর্মসূচি আজকের জনসভা থেকে দেবে না ঐক্যফ্রন্ট। আমরা আলোচনায় বিশ্বাস করি, আশা করি চলমান সংকট আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।’

কর্মসূচির বিষয়ে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, ‘সাত দফা দাবি আদায়ে জনমত গঠনের লক্ষ্যে সভা-সমাবেশ করা হচ্ছে। আমরা চাই, আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান হোক। তবে দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

জাতীয় নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ একাধিক দাবিতে আগামীকাল বুধবার দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

এর আগে গত ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে প্রথম দফার বৈঠক শেষ হলেও সংলাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে গত ৩ নভেম্বর ফের প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দেয় ঐক্যফ্রন্ট।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৪০২ঘ.)