রাজশাহীর জনসমুদ্রে জাতীয় নেতৃবৃন্দ

‘৭ দফা না মানলে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না’

‘৭ দফা না মানলে দেশে কোনো  নির্বাচন হবে না’

ঢাকা, ৯ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি না মানলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।

শুক্রবার বিকালে রাজশাহীর আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভাগীয় জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সরকার কারাগারে আটক করে রেখেছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটকে রেখেছে। অমানুষিক কষ্ট দিয়ে রেখেছে। তিনি বলেন, আমাদের দাবি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। তা না হলে নির্বাচন হবে না।

মির্জা আলমগীর বলেন, সব জাতীয় নেতারা আমরা এক হয়েছি। গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করার জন্য। কারণ গণতন্ত্র মানে দেশনেত্রী, দেশনেত্রী মানে গণতন্ত্র। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য, এই দেশের জন্য নিজের সারাটা জীবন উজার করে দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।

এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা কি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চান? আপনারা কি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার চান? আপনারা কি ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চান? এ সময় সবাই হাত তুলে মির্জা আলমগীরের সঙ্গে চাই চাই বলে আওয়াজ তুলেন।

এর আগে শুক্রবার দুপুর ২টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে জনসভা শুরু হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে আজকের জনসভায় যোগ দিতে পারেননি বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা, গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। জনসভায় সভাপতিত্ব করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রধাননেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে আলিয়া মাদরাসা মাঠে লাখো জনতার জনসমুদ্র। মুহুর্মুহু স্লোগান দিতে থাকে ‘মুক্তি চাই, দিতে হবে।’ সেই সাথে উচ্চারিত হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মজলুম জননেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ও রায় বাতিলের দাবি।

নানা বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে রাজশাহীতে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে হাজির হন লাখো নেতাকর্মী। তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না আলিয়া মাদরাসা মাঠে। পুরো এলাকা যেনো জনসমুদ্র। মাদ্রাসায় জেডিসি পরীক্ষা চলায় আগে থেকে সমাবেশস্থলে যেতে পারেননি সমাবেশে আসা লোকজন। তাই সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হন তারা। পরীক্ষা শেষ হলে মিছিল নিয়ে যোগ দেয় জনসভায়। রাজশাহী ও আশপাশের জেলায় পরিবহন বন্ধ থাকায় নেতাকর্মীদের আসতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। তবে সব প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে ট্রেন, মাইক্রো এবং নৌকা যোগে চলে আসেন রাজশাহীতে। অনেকে দুই তিনদিন আগেই সমাবেশে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে শহরে এসে অবস্থান করেন।

সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, এক মাঘে শীত যায় না। এটি ভুলে গেলে চলবে না। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে যদি এক শীত কারাগারে কাটাতে হয়, শেখ হাসিনাকে ১০ শীত কাটাতে হবে। তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে, একতরফা নির্বাচনী বৈতরণী পার করা সম্ভব নয়। ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বানচাল করতে চায় না। ৭ দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

প্রতিহিংসা বন্ধ করে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ঐক্যফ্রন্ট যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সরকার সে ফাঁদ পেতেছে। আমরা আবারো নির্বাচন কমিশনের কাছে আহ্বান জানাই তফসিল পেছানোর। আমাদের দাবি না মানলে কোনো নির্বাচন নয়।

রাজশাহীর জনসভায় উপস্থিত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে মান্না বলেন, ঢাকায় আসেন, দেখি ওরা আমাদের কথা শুনে কিনা। আমরা আলোচনা করে সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু সরকার সেগুলো বাস্তবায়ন করেনি। কিন্তু এরই মাঝে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ৭ দফার আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে, প্রশাসনকে বলতে চাই, আপনারা আজকে সমাবেশে জনগণকে আসতে বাধা দিয়েছেন। কিন্তু জনগণের জোয়ার বাধা দিয়ে রাখা যায় না।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। চিকিৎসা ছাড়াই তাকে জোড় করে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার কি দোষ ছিল? তিনি দেশের জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করছিলেন। সেজন্য এ সরকার তাকে কারাগারে রেখেছে। কারণ এ সরকার জনগণকে ভয় পায়। তার ৫ জানুয়ারি প্রহসন করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতিকে কিভাবে দেশ ত্যাগ বাধ্য করা হয়েছে তা আপনারা দেখেছেন। সেই প্রধান বিচারপতি লিখেছে, যে দেশের প্রধানবিচারপতি ন্যায় বিচার পায় না, সে দেশের জনগণ কিভাবে ন্যায় বিচার পাবে।

আপনারা কি আগামী নির্বাচন বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া হতে দেবেন? ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বেগম খালেদা জিয়া বয়কট করার কারণে নির্বাচন হয়নি। এবারও খালেদা জিয়াকে ছাড়া জনগণ কোনো নির্বাচন হতে দেবে না।

৭ দফার আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে, প্রশাসনকে বলতে চাই, আপনারা বাধা দিয়েছেন। কিন্তু জনগণের জোয়ার বাধা দিয়ে রাখা যায় না। আওয়ামী লীগের সময় শেষ। জনগণের টাকায় আপনাদের বেতন হয়। আপনারা জনগণের পাশে দাঁড়ান। যদি না দাঁড়ান, তাহলে জনগণ একদিন আপনাদের কাছে তার কৈফিয়ত দাবি করবে।

এবার বিনা চ্যালেঞ্জে সরকারকে ছেড়ে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেছেন, এবার ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এবারের জনজোয়ারে আগামী নির্বাচনে নৌকা ভেসে যাবে।

ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, সংলাপে প্রধানমন্ত্রী তার দেওয়া কথা রাখেননি। কথা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি তার কথা বরখেলাপ করেছেন।

সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ বলেন, সিইসি সরকারের তল্পিবাহক ও অকার্যকর। বর্তমান সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন ইসি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। বেগম জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্টের আন্দোলন চলবে। নেতাকর্মীদের আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানান তিনি।

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, তারেক জিয়ার মুক্তি চাই। এই মুক্তি কার কাছে চান? আমরা কি তাদের মুক্তি দিতে পারি? আজ যখন এই শহরে আসি তখন দেখি কোন লোক নেই জন নেই। যেন কারফিউ জারি করা হয়েছে। এরপরও আমি দেখতে পাচ্ছি আমার সামনে দিয়ে বাধ ভাঙা জোয়ারের মতো মানুষ আসছে। এই মানুষ আসবে। জোয়ার বন্ধ করা যাবে না। যতো বাধা দেয়া হোক না কেন কাজ হবে না।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, আমি বিএনপির সভায় আসিনি, কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের সভায় এসেছি। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাইলে ঐক্যফ্রন্ট অটুট রাখতে হবে। বাংলাদেশের রাজনীতি মানেই খালেদা জিয়া, তাকে বন্দি রাখা সম্ভব নয়।

এসময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, এর আগে শেখ হাসিনাকে বলেছিলাম আলোচনায় বসুন, বসেননি। এবার আলোচনায় বসেছেন। যেদিন আলোচনায় বসেছেন সেদিনই আপনাদের বিজয় হয়েছে। আপনারা কি শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় চান। বাংলাদেশের রাজনীতি মানেই খালেদা জিয়া, তাকে বন্দি রাখা সম্ভব নয়।

বিএনপি রাজাকারের গাড়িতে পতাকা দেয়নি। আওয়ামী লীগ রাজাকারের গাড়িতে পতাকা দিয়েছে মন্তব্য করে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আরো বলেন, টাঙ্গাইল থেকে সড়ক পথে এসেছি, রাস্তায় রাস্তায় বাধা এসেছে। আমাকেও ফেরাতে পারেনি। এই মাঠের মানুষদেরও পারেনি।

তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা কথা দিয়েছিলেন জনসভায় বাধা দেবেন না। কিন্তু আমার গাড়ি পাঁচবার ধরেছে। তারপর আমাকে অন্য রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছে।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আজকের জনসভায় বাধা অতিক্রম করে যেসব মেয়েরা মাঠে উপস্থিত হয়েছেন, তার তিন ভাগের একভাগ মেয়ে যদি আমার দলে থাকতো তাহলে আমি তিন দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার ফেলে দিতে পারতাম।

২০ দলীয় জোটভুক্ত লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে রাজপথে আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

তিনি আরো বলেন, বেগম জিয়া যেখানেই থাকুক না কেন বেগম জিয়াকে মুক্ত করবো। তাতে কে রাজি আছেন হাত তুলে দেখান, রাস্তায় নামুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেখুক কত জনগণ বেগম জিয়াকে মুক্তির জন্য প্রস্তুত আছে।

এই প্রথম তিনি ঐক্যফ্রন্টের কোনো সমাবেশে নিজে যোগ দিলেন। এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তিনি। এর আগে সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জনসভা করে। এর কোনোটিতেই তিনি নিজে উপস্থিত ছিলেন না। সিলেটে তার দলের পক্ষ থেকে ঐক্যফ্রন্টের প্রতি সমর্থন জানানো হয়। এ ছাড়া ঢাকার জনসভায়ও তার দলের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে ঢাকা অচলের কর্মসূচি চান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার রাজশাহীর আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে আয়োজিত বিভাগীয় জনসভায় বক্তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে এ আহ্বান জানান।

বক্তারা বলেন, ‘আন্দোলন চাই, নির্দেশনা দেন। এক দফার কর্মসূচি চাই। আন্দোলন ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না।’ এই সমাবেশের পর আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে সমাবেশ থেকে। নেতারা বলেন, ‘আজকের জনসভা পণ্ড করার জন্য রাজশাহী অভিমুখে বাস, ট্রাক, ট্রেন সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ বারবার জোর করে ক্ষমতায় এসেছে। ২০০৮ সালে পাতানো নির্বাচন, ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচনের নামে প্রতারণা করে ক্ষমতা দখল করেছে। এবারও তারা একতরফা নির্বাচন করার জন্য তড়িগড়ি করে তফসিল ঘোষণা করেছে যাতে বিরোধী দল নির্বাচনে না যেতে পারে। জনগণ এবার ভোটারবিহীন নির্বাচন হতে দিবে না। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করে রেখেছে। নির্বাচনের আগে তাকে মুক্তি দিতে হবে। সরকারের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করা হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিচার চাই, বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে শেখ হাসিনা বাইরে থাকতে পারেন না। শেখ হাসিনাকেও জেলে যেতে হবে।’

জনসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘হুদার অধীনে নির্বাচনে গেলে, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে গেলে, শেখ হাসিনা আজীবন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। আর খালেদা জিয়া আমৃত্যু কারাগারে এবং তারেক জিয়া আজীবন নির্বাসনে থাকবেন। আমরা যদি সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করি, এ দেশের মানুষ আমাকে, আপনাকে ছাড়বে না। তাই বলছি, হুদাকে নামান, শেখ হাসিনাকে নামান। আমরা নির্বাচনে গেলে জয়ী হব যদি ভোট দিতে পারি।’

জনসভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সরকারের ভীত নড়ে গেছে। তারা পালাবার পথ খুঁজছে। সরকার যত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করুক না কেন, ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের পরাজিত করতে হবে। জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জনগণের বিপক্ষে গিয়ে কেউ কখনো বেশি দিন টিকে থাকতে পারেনি। বর্তমান ক্ষমতাসীনরাও পারবে না।

জনসভায় আরো বক্তব্য দিয়েছেন অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, শহীদুল্লাহ কায়সার, আবদুল গোফরান, শাহজাহান মিয়া, আবদুর রউফ ইউছুপ, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হারুনুর রশিদ, নাদিম মাহমুদ, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, শাহ আহমদ বাদল, মোস্তাক আহমেদ, এ টি এম গোলাম, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, রফিকুল ইসলাম, সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া প্রমুখ।

সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারে অধীনে নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, ইভিএম বাতিল, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গ্রেপ্তার বন্ধ করা, নির্বাচনে ম্যাজিট্রেসি পাওয়ার দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ ৭ দফা দাবিতে ঐক্যফ্রন্টের এ সমাবেশ।

নতুন এ রাজনৈতিক জোট আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিভাগীয় শহরগুলোতে জনসভা করছে। সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকার পর চতুর্থ জনসভাটি হয়েছে আজ রাজশাহীতে। দুপুর ২টায় রাজশাহী মহানগরীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে এই সমাবেশ শুরু হয়।

দুপুর ২টা থেকে ৫টার মধ্যে জনসভা শেষ করতে হবে, মিছিল নিয়ে সভায় যোগ দেয়া যাবে না, মাঠের বাইরে মাইক দেয়া যাবে না, বিশৃঙ্খলা হয় এমন কিছু করা যাবে না, রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দেয়া যাবে না প্রভৃতি ১২টি শর্তে এ জনসভা করার অনুমতি মিলেছে ঐক্যফ্রন্টের।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৭৫০ঘ.)