আপনাদের আন্দোলন কি সংবিধানে ছিল? আ’লীগের উদ্দেশে রব

আপনাদের আন্দোলন কি সংবিধানে ছিল? আ’লীগের উদ্দেশে রব

ঢাকা, ৯ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছিলেন সেটা কি সংবিধানে ছিল? আজকে বলছেন তফসিল ঘোষণার পরে আন্দোলন বেআইনি। যখন বিরোধী দলে ছিলেন তখন বেআইনি ছিল না? এসব টালবাহানা করে পার পাবেন না। দাবি মানতে হবে।

শুক্রবার বিকালে রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভাগীয় জনসভায় এসব কথা তিনি।

তিনি আরো বলেন, ১৭০ দিন হরতাল করে তত্ত্বাবধায়ক দাবির সময় শেরাটনের সামনে বাসে পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যার কথা আমরা ভুলে যাইনি।

তিনি বলেন, সংলাপে দাবি করেছিলাম, সংসদ বাতিল করেন, আপনি পদত্যাগ করেন। শুনলেন না। তড়িঘড়ি করে তফসিল ঘোষণা করে দিলেন। আমরা যাতে নির্বাচনে যেতে না পারি। ৯০ ভাগ ভোটারকে বাদ দিয়ে ৭ দফা না মেনে দেশে নির্বাচন হতে পারে না। যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছিলেন সেটা কি সংবিধানে ছিল? আজকে বলছেন তফসিল ঘোষণার পরে আন্দোলন বেআইনি। যখন বিরোধী দলে ছিলেন তখন বেআইনি ছিল না। এসব টালবাহানা করে পার পাবেন না। দাবি মানতে হবে।

আ স ম রব বলেন, আপনারা যখন তফসিল ঘোষণার পরে আন্দোলন করেন। তখন বেআইনি হয় না। আমরা করলে বেআইনি হয়ে যায়? কি করবেন জেলে নেবেন? ৬ বছর জেলে ছিলাম, জেল ভয় পাই না। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। তফসিল না পেছালে নির্বাচন কমিশনে পদযাত্রা হবে।

তিনি বলেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান মেরেছেন। আল্লাহ-নবীর খুতবার পরিবর্তে মসজিদে সরকারের খুতবা পড়িয়েছেন। এবার আর রক্ষা নাই। জেগেছে জনতা দেখে যান। পুলিশ দিয়ে বাধা দিয়েছেন। এবার ভোটের দিন লড়াই। এই লড়াইয়ে জিততে হবে। তফসিল যদি না পেছান। জান দেব তো দাবি ছাড়ব না।

তফসিল আর নির্বাচন যদি না পেছানো হয় তাহলে দেশব্যাপী গণ-আন্দোলন শুরু হবে বলে সরকারকে হুশিয়ারি দেন রব। তিনি বলেন, আমরা সংলাপে গিয়ে দেশ ও জাতিকে সংঘাত থেকে বাঁচাতে চেয়েছি। আমি নির্বাচনেও থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তড়িঘড়ি তফসিল ঘোষণা করে সরকার তা বানচাল করে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে জেএসডি সভাপতি বলেন, সংবিধানের জন্য জনগণ; না জনগণের জন্য সংবিধান-এটা পরিষ্কার করতে হবে। আমাদের ৭ দফা দাবি মানতে হবে। সংসদ ভেঙে দেন। প্রধানমন্ত্রী আপনি পদত্যাগ করেন।

এর আগে দুপুর ২টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে জনসভা শুরু হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে জনসভায় যোগ দিতে পারেননি বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা, গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। তবে ঢাকা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জনসভায় বক্তব্য দেন তিনি।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর সভাপতিত্বে জনসভায় যোগ দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, বিজেপির সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/একে/২৩৫৯ঘ.)