ঢাকা, ১২ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অবিলম্বে তিনি তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
জাতীয় নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সোমবার সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। সাক্ষাৎ শেষে বিকালে সোয়া ৪টার দিকে কারাফটকে মির্জা আলমগীর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখছেন আমরা এই ৫ জন গিয়েছিলাম। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার এবং মির্জা আব্বাস।’
‘ম্যাডাম অসুস্থ, অত্যন্ত অসুস্থ এবং উনার ট্রিটমেন্ট ঠিকমতো হচ্ছে না’ এ কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পিজি হাসপাতালে ডাক্তাররা তাকে যে চিকিৎসা দিয়েছিল এবং তাকে পিজি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য যে পরামর্শ দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ সেই পরামর্শ গ্রাহ্য করেনি। হঠাৎ করেই তাকে এই কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে। এমনকি ডাক্তারের ছাড়পত্রও তারা সংগ্রহ করেনি। আমরা তখনই বলেছি এটা অমানবিক এবং অবিলম্বে তাকে আবারো পিজিতে নিয়ে চিকিৎসার জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটি অমানবিক। আইনের মধ্যে কোথাও নেই যে একজন অসুস্থ মানুষকে যিনি চলতে পারেন না তাকে হুইল চেয়ারে করে আদালতে হাজির করতে হবে এবং তাকে আবার কারাগারে নিয়ে আসা হবে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং একই সঙ্গে অবিলম্বে তাকে পিজি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি।’
মির্জা আলমগীর বলেন, ‘আমরা বারবার যে দাবি করে আসছি, অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছি। মুক্তি তার প্রাপ্য। অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে আমরা এই কথাটি বলছি। তিনি অসুস্থ এখন তাকে মুক্তি দেওয়াটা সবচেয়ে জরুরি বলে আমরা মনে করি।’
এর আগে বেলা পৌনে ৩টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি নাজিম উদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। এরপর বেগম খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পর থেকেই তাকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে সেখানে রাখা হয়েছে। পরে গত ৩০ অক্টোবর এই মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৭০০ঘ.)