মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতি ঢাকতেই আয়কর রিটার্ন দাখিলের বিধান রদ : রিজভী

মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতি ঢাকতেই আয়কর রিটার্ন দাখিলের বিধান রদ : রিজভী

ঢাকা, ১৮ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বর্তমান সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতির খবর ঢেকে রাখতেই আয়কর রিটার্ন দাখিলের বিধান নির্বাচন কমিশন রদ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রবিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলেনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়া আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজদের ভোটে সুরক্ষা দিতে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়েছে ইসি।

তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের কী পরিমাণ সম্পদ বেড়েছে, সেটি যাতে জনগণ জানতে না পারে, সে জন্য নির্বাচন কমিশন আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থীদের রিটার্ন দাখিল করার বাধ্যবাধকতার বিধান তুলে দিয়েছে।

রিজভী আরও বলেন, বর্তমান অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকারের মন্ত্রী-এমপি-নেতারা জনগণের সম্পদ লুটপাট করে একেকজন অর্থবিত্ত ও সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। কেউ কেউ বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের শীর্ষ ধনীদের ‘টপটেন’ তালিকায় নাম উঠিয়েছেন।

‘গত ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক থাকার ফলে দেশের মানুষ জানতে পেরেছে মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদ ১০০ গুণ থেকে ৫০০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। তাদের স্ত্রীরাও পাল্লা দিয়ে গড়েছিলেন সম্পদের পাহাড়।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ২০০৮ সালে ধারদেনা করে নির্বাচন করেছেন এমন এমপিও কয়েকশ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। সঙ্গে যোগ হয়েছে বাড়ি, ফ্ল্যাট, ব্যাংকে নগদ টাকা, জমি, শিল্প প্রতিষ্ঠান, শেয়ার-সঞ্চয়পত্র, এফডিআর ইত্যাদি।

‘কিন্তু ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্তও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে হরিলুট হয়েছে, লুটপাটের কারণে ব্যাংকগুলোতে অর্থ সংকট দেখা দিয়েছে। দেউলিয়া হওয়ার পথে অধিকাংশ ব্যাংক।’

রিজভী বলেন, আয়কর রিটার্ন দাখিল তুলে দেয়ার কারণে আওয়ামী লীগের অনেকেই সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব বকেয়া রেখেও আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। করযোগ্য নয় বলে অনেকেই মিথ্যা তথ্য দেবেন।

তিনি বলেন, আইনি শিথিলতার সুযোগে নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে প্রচার চালালেও করযোগ্য আয় নেই বলে নির্বাচন কমিশনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পার পেয়ে যাবেন।

রিজভী বলেন, আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার বিধানটি কেবল বাদ দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন। এমনকি টিআইএন না থাকলেও প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র এবার বাতিল হবে না বলে আইন করা হয়েছে।

‘আর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে একই সঙ্গে ঋণ ও বিল খেলাপিদের প্রার্থী হওয়ার শর্ত সহজ করেছে এ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।’

(জাস্ট নিউজ/এমজে/১৪২০ঘ.)