মির্জা আব্বাসের বাসা থেকে ৮ কর্মীকে তুলে নেয়ার অভিযোগ

মির্জা আব্বাসের বাসা থেকে ৮ কর্মীকে তুলে নেয়ার অভিযোগ

ঢাকা, ১৮ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : রাজধানীর শাজাহানপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাসা থেকে আট কর্মীকে তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার দুপুরে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মির্জা আব্বাসের স্ত্রী জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস।

তিনি বলেন, ‘দুপুরে তার বাসায় বেশ কয়েকজন কর্মী এসেছিলেন। খাওয়া-দাওয়া ও নির্বাচনি কার্যক্রমের জন্য তারা বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছিলেন। ওই কর্মীরা বাসা থেকে বের হওয়ার সময় সাদা পোশাকের লোকজন তাদের ধরে নিয়ে যায়। যাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের মধ্যে রাকিব নামের একজন সাধারণ কর্মীও ছিলো। তারা মির্জা আব্বাসের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।’

বাকি কর্মীদের নাম জানাতে পারেননি আফরোজা আব্বাস। এরা বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছিল বলেও জানান এই নেত্রী। এই সময় মির্জা আব্বাস বাসার ভেতরেই ছিলেন। তবে সাদা পোশাকের লোকেরা বাসার ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেননি বলে জানান তিনি।

আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘আজ কোর্টে আমার মামলা ছিল। ওই মামলায় আগাম জামিন পেয়েছি। যাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের কেউ কেউ কোর্টে ছিল। কোর্ট থেকে ফিরে তারা আমাদের বাসায় আসেন।’

আফরোজা আব্বাসের ধারণা ডিবি পুলিশ ওই কর্মীদের ধরে নিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পোশাকধারী পুলিশ আসবে, বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাবে এরকম হলে সেটা অন্য কথা। কিন্তু এভাবে ধরে নিয়ে যাওয়াটা ভয়ের বিষয়। অনেক সময় গুম হয়ে যায়, মারধর করে, খুন হয়ে যায়।’

বিএনপির এই নেত্রী বলেন, ‘একটা নির্বাচন হচ্ছে সবদিকে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এর মধ্যে যদি এ রকম হয় তাহলে তো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকল না। আমরা কি নির্বাচন করতে পারব না?’

আফরোজা আব্বাস অভিযোগ করেন, কয়েকদিন আগেও তার বাসার দুইজন দারোয়ানকে ধরে নিয়ে সারারাত আটকে রেখে মারধর করা হয়েছিল। এরপর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। আরেকজন দারোয়ানকে আটক করা হয়েছে। তিনি এখন পাঁচদিনের রিমান্ডে আছেন।

মির্জা আব্বাসের স্ত্রী বলেন, ‘সাদা পোশাকের লোকজন বাসায় ঢোকার চেষ্টা করেনি। বাসা থেকে যে-ই বের হয়েছেন তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাসার সামনে যতগুলো এন্ট্রি গেট ছিল সবখানে সাদা পোশাকের লোকজন ছিলেন।’

এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মো. সুমন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।’

শাহজানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ ভুয়া খবর। আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানি না।’

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৮৪৫ঘ.)