কাঁদলেন মির্জা আলমগীর

কাঁদলেন মির্জা আলমগীর

ঢাকা, ২৬ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : ঢাকার গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রধান নেত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে এই প্রথম নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি—এ পর্যন্ত বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এ সময় গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনস্থলে থাকা দলটির অন্য নেতারাও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

কাঁদতে থাকায় প্রায় ২ মিনিট তিনি কোনো কথা বলতে পারেননি। এরপর আবার সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।

পরে তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেই নির্বাচনে যেতে হচ্ছে। খালেদাকে মুক্তি আন্দোলনের অংশ হিসেবেই আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ৭ দফা দাবি দিয়েছিলাম। এসব দাবি নিয়ে জনগণের কাছে গিয়েছি। সরকারের সঙ্গে সংলাপ করেছি, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে গিয়েছি। কিন্তু তারা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে। ইসি সম্পূর্ণ পক্ষপাত দুষ্ট হয়ে কাজ করছে। বারবার বলেছি- যা কিছু করার তা করা প্রয়োজন। কিন্তু তারা করছে না।

তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, প্রশাসনেও রদবদলের প্রয়োজন। আমরা বললেও তা করা হয়নি। ইভিএম (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) বন্ধ রাখেনি। পত্র-পত্রিকায় সিইসির (প্রধান নির্বাচন কমিশনরা) ভাগ্নে শাহাজাদা সাজু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। আমরা আগেও বলেছিলাম- তিনি (সিইসি) পক্ষপাত দুষ্ট। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

মির্জা আলমগীর বলেন, এতকিছুর পরও আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি এর মধ্য দিয়েই রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিবর্তন সম্ভব এবং জনগণ তার অধিকার ফেরত পাবে।

সোমবার বিকাল থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত নেতাদের হাতে প্রত্যায়নের চিঠি হস্তান্তর শুরু করেছে বিএনপি। প্রথম চিঠিটি নিয়ে কার্যালয়ের সামনে আসেন বিএনপি কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুজিবর রহমান সরোয়ার।

আজকের সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্তদের চিঠি বিতরণের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দিচ্ছিলেন মির্জা আলমগীর।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দী হন বেগম খালেদা জিয়া। এখনো তিনি জেলে আছেন। আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ এখনো অনিশ্চিত।

বেগম খালেদা জিয়া তিনটি আসনে দলের প্রার্থী হচ্ছেন বলে বিএনপি থেকে জানানো হয়েছে। এগুলো হলো ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৭০০ঘ.)