এখন পর্যন্ত বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা

এখন পর্যন্ত বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা

ঢাকা, ২৬ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রধান নেত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে মনোনয়ন দেয়ার মাধ্যমে দলটির মনোনয়ন বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে। সোমবার দুপুরে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজধানীর গুলশানে দলটির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মনোনয়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিএনপির চিঠি পেয়েছেন যারা। তারা হলেন-

রাজশাহী বিভাগ
রাজশাহী-১ আসনে ব্যারিস্টার আমিনুল হক, রাজশাহী-২ ‌আসনে মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী-৩ আসনে শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী-৪ আসনে আবু হেনা, রাজশাহী-৫ আসনে অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা ও অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মন্ডল, রাজশাহী-৬ আসনে আবু সাঈদ চাঁদ এবং নুরুজ্জামান খান মানিক, নাটোর-১ আসনে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার শিরিন ও তাইফুল ইসলাম টিপু, নাটোর-২ আসনে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও সাবিনা ইয়াসমিন ছবি, নাটোর-৩ আসনে দাউদ আর মাহমুদ ও অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন আনু, নাটোর-৪ আসনে আবদুল আজিজ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে অধ্যাপক শাহাজান মিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে হারুন অর রশিদ। বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে বেগম খালেদা জিয়া, বগুড়া-১ আসনে কাজী রফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ শোকরানা, বগুড়া-৩ আসনে আব্দুল মুহিত তালুকদার ও মাসুদা মোমেন, বগুড়া-৫ আসনে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ ও জানে আলম খোকা, বগুড়া-২ আসন শুন্য রাখা হয়েছে। নওগাঁ-১ আসনে ডা. সালেক চৌধুরী ও মোস্তাফিজুর রহমান, নওগাঁ-২ আসনে শামছুজ্জোহা খান জোহা ও খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরী, নওগাঁ-৩ আসনে আরেফিন সিদ্দিকী জনি ও রবিউল আলম বুলেট, নওগাঁ-৪ আসনে শামসুল আলম প্রামাণিক ও ডা. একরামুল বারী টিপু, নওগাঁ-৫ আসনে কর্নেল (অব.) আব্দুল লতিফ খান ও জাহেদুল ইসলাম ধলু এবং নওগাঁ-৬ আসনে আলমগীর কবীর ও আনোয়ার হোসেন বুলু। জয়পুরহাট-১ আসনে ফয়সল আলীম ও ফজলুর রহমান, জয়পুরহাট-২ আসনে গোলাম মোস্তফা ও আবু ইউসুফ মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। সিরাজগঞ্জ-১ আসনে নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও রুমানা মাহমুদ, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে আব্দুল মান্নান তালুকদার ও সাইফুল ইসলাম শিশির, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে মেজর (অব.) আব্দুল আল মামুন ও আমিরুল ইসলাম আলিম, সিরাজঞ্জ-৬ আসনে ড. এ এ মুহিত, সিরাজগঞ্জ-৪ আসন শূন্য রাখা হয়েছে।
পাবনা-১ আসন শুন্য রাখা হয়েছে। পাবনা-২ আসনে একেএম সেলিম রেজা হাবিব, পাবনা-৩ আসনে কেএম আনোয়ারুল ইসলাম, পাবনা-৪ আসনে হাবিবুর রহমান হাবিব ও পাবনা-৫ আসনে অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।

বরিশাল বিভাগ
বরগুনা-১ আসনে মতিউর রহমান তালুকদার ও নজরুল ইসলাম মোল্লা, বরগুনা-২ আসনে নুরুল ইসলাম মনি। পটুয়াখালী-১ আসনে আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও সুরাইয়া আখতার চৌধুরী, পটুয়াখালী-২ আসনে শহীদুল আলম তালুকদার ও সালমা আলম, পটুয়াখালী-৩ আসনে গোলাম মাওলা রনি, পটুয়াখালী-৪ এবিএম মোশাররফ হোসেন ও মনিরুজ্জামান মুনির।
ভোলা-১ আসন খালি রাখা হয়েছে। ভোলা-২ আসনে হাফিজ ইব্রাহিম ও রফিকুল ইসলাম মনি, ভোলা-৩ আসনে মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ ও কামাল হোসেন, ভোলা-৪ আসনে নাজিমউদ্দিন আলম ও মো. নুরুল ইসলাম। বরিশাল-১ আসনে জহির উদ্দিন স্বপন ও আবদুস সোবহান, বরিশাল-২ আসনে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু ও শহিদুল হক জামাল, বরিশাল-৩ আসনে জয়নুল আবেদীন ও সেলিমা রহমান, বরিশাল-৪ আসনে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ ও রাজীব আহসান, বরিশাল-৫ আসনে মজিবর রহমান সারোয়ার ও এবায়দুল হক চান, বরিশাল-৬ আসনে আবুল হোসেন খান ও অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ খান।
ঝালকাঠি-১ আসনে শাহজাহান ওমর, ঝালকাঠি-২ আসনে রফিকুল ইসলাম জামাল, ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো ও জেবা খান। পিরোজপুর-১ ও পিরোজপুর-২ শুন্য রাখা হয়েছে। পিরোজপুর-৩ আসনে রুহুল আমিন দুলাল ও শাহজাহান মিলন।

রংপুর বিভাগ
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দিনাজপুর-১ আসনে মঞ্জুরুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ, দিনাজপুর-২ আসনে সাদিক রিয়াজ, দিনাজপুর-৩ আসনে সৈয়দ জাহাঙ্গীর ও মোজাম্মেল দোলন, দিনাজপুর-৪ আসনে হাফিজুর রহমান ও আক্তারুজ্জামান মিয়া, দিনাজপুর-৫ আসনে রেজাউল হক ও জাকারিয়া বাচ্চু, দিনাজপুর-৬ আসনে লুৎফর রহমান মিন্টু ও শাহীনুর ইসলাম মন্ডল।
রংপুর-১ আসনে মোকাররম হোসেন সুজন, রংপুর-২ আসনে ওয়াহেদুজ্জামান মামুন ও মোহাম্মদ আলী, রংপুর-৩ আসনে মোজাফফর আহমেদ ও রিতা রহমান, রংপুর-৪ আসনে এমদাদুল হক ভরসা, রংপুর-৫ আসনে সোলাইমান আলম ও ড. মমতাজ, রংপুর-৬ আসনে সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী-১ আসনে রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, নীলফামারী-২ আসনে মনিরুজ্জামান মন্টু ও শামসুজ্জামান জামান, নীলফামারী-৩ আসনে সৈয়দ আলী, নীলফামারী-৪ আসনে আমজাত হোসেন সরকার ও বেবী নাজনীন।

ঢাকা বিভাগ
ঢাকা-২ আসনে আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা-৩ আসনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা-৫ আসনে নবী উল্লাহ, ঢাকা-৬ আসনে আবুল বাশার, ঢাকা-৮ আসনে মির্জা আব্বাস, ঢাকা-৯ আসনে হাবিব-উন-নবী খান, ঢাকা-১৩ আসনে আবদুস সালাম, ঢাকা-১৪ আসনে এসএ সাজু,নরসিংদী-১ খায়রুল কবির খোকন, নরসিংদী-৩ সানাউল্লাহ মিয়া।

চট্টগ্রাম বিভাগ
নোয়াখালী-১ আসনে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, নোয়াখালী-২ আসনে কাজী মফিজুর রহমান/জয়নাল আবেদীন ফারুক, নোয়াখালী-৩ আসনে মোহাম্মদ শাহজাহান, নোয়াখালী-৫ আসনে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে শাহাদাত হোসেন সেলিম(এলডিপি), লক্ষ্মীপুর-২ আসনে আবুল খায়ের ভুইয়া, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, লক্ষ্মীপুর-৪ আশরাফ উদ্দিন নিজাম, ফেনী-১ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ফেনী-২ আসনে ভিপি জয়নাল, ফেনী-৩ আসনে আব্দুল আউয়াল মিন্টু।

সিলেট বিভাগ

সিলেট -১: ইনাম আহমেদ চৌধুরী/ খন্দকার আব্দুল মুক্তাদীর, সিলেট-২ আসনে তাহসিনা রুশদীর, মৌলভীবাজার-২ সুলতান মুহাম্মদ মনসুর (ঐক্যফ্রন্ট)।

ময়মনসিংহ বিভাগ
ময়মনসিংহ-৪ আসনে আবু ওহাব আকন্দ। নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসনে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

এদিকে মনোনয়ন চিঠি পেয়ে নোয়াখালীর পথে রয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি নোয়াখালী-৫ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের ব্যক্তিগত সহকারি মুমিনুল ইসলাম সুজন বলেন, গতবার মওদুদ আহমদকে নিজ এলাকায় আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে এলাকায় বাধা দেয়া হয়েছিল। এবার তা নেই৷ পথে পথে মানুষের ঢল নেমেছে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে গ্রহণ করতে মানুষের স্রোত। এবার বিএনপির পক্ষে মানুষের এই স্রোত কেউ ঠেকাতে পারবে না।

মনোনয়নের চিঠি গ্রহণ করেছেন ভোলা-৩ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

জানা গেছে, বিএনপি প্রার্থী তালিকা আরও একদিন আগেই চূড়ান্ত হয়ে আছে। কিন্তু জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হওয়ায় প্রার্থী তালিকা দিতে দেরি হচ্ছে। মাঠ জরিপ ও প্রার্থীদের অতীত কর্মকাণ্ড এবং তৃণমূল নেতাদের মত নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির প্রার্থীদের খসড়া তৈরি করে রাখে। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেয়ার সময় তালিকার খসড়া করা হয়। খসড়া তালিকা বেশিরভাগ আসনে একাধিক প্রার্থীর নাম ছিল। ওই খসড়া থেকে প্রার্থী চূড়ান্ত করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

কোনো কোনো আসনে একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়নের চিঠি দেয়া হচ্ছে। ওই সব আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের আগে একক প্রার্থী দেবে বিএনপি। কোনো কোনো আসনে দুজন রাখা হচ্ছে এ কারণে যে, আইনি জটিলতায় কারও প্রার্থিতা যদি বাতিল হয়ে যায়, তবে সেখানে যেন প্রার্থী শূন্য না থাকে।

তাই কোনো কোনো আসনে কৌশলগত কারণে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য প্রত্যয়নপত্র দেয়া হচ্ছে। অবশ্য মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ফরমেও প্রার্থীদের স্বাক্ষর রাখা হচ্ছে।

প্রার্থীজটের কারণে জটিলতা তৈরি হওয়া আসনগুলোর ব্যাপারে আগামী ৮ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগেই চূড়ান্ত করা হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় আর দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তারেক রহমান লন্ডনে অবস্থান করায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনোনয়নের চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন।

এ সংক্রান্ত দলের সিদ্ধান্তের একটি চিঠি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের স্বাক্ষরে প্রতিটি জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। বরিশাল বিভাগের প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্র দেয়ার মধ্য দিয়ে বিএনপির দলীয় টিকিট দেয়ার কথা ছিল। সোমবার দুপুর ১টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ দেয়া হয়। তার আগেই রংপুর বিভাগের প্রার্থীদের নাম প্রকাশিত হল।

নোটিশে বলা হয়েছে-বিকাল ৪টায় বরিশাল বিভাগের প্রার্থীদের চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি দেয়া হবে। সন্ধ্যা ৬টায় রংপুর বিভাগের দলীয় প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্র দেয়া হবে। আর রাজশাহী বিভাগের প্রার্থীদের রাত ৮টায় দলের টিকিট দেয়া হবে। সোমবার এ তিনটি বিভাগের প্রার্থীদের চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি দেয়া হবে।

বাকি বিভাগগুলোর প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্র দেয়া হবে মঙ্গলবার। মনোনয়নপত্র নিতে গুলশান কার্যালয়ে এসে ভিড় করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। গুলশান কার্যালয়ের সামনে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৭১৬ঘ.)