খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দুরে রাখতে সরকার মেকানিজম করছে : বিএনপি

খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দুরে রাখতে সরকার মেকানিজম করছে : বিএনপি

ঢাকা, ২৭ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রধান নেত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দুরে রাখতেই তড়িঘড়ি করে সরকারের মেকানিজমে এরকম একটি আদেশ দেয়া হলো বলে মন্তব্য করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

ষড়যন্ত্র করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রার্থীতা আটকে দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে নানা কূট কৌশল ও ফন্দি ফিকির অব্যাহত রেখেছে সরকার।

“নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করে মিথ্যা সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করে রেখেই ক্ষান্ত হয়নি সরকার, এখন উচ্চ আদালতকে ব্যবহার করছে। গতকাল হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে অবজারভেশন দেয়া হলো, উচ্চ আদালতের আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় নিম্ন আদালতের দেয়া সাজা স্থগিতের কোনো বিধান নেই।”

মঙ্গলবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

রিজভী আহমেদ বলেন, অতীতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় নির্বাচন করার নজির রয়েছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন খান আলমগীর দন্ডিত হয়েও সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়া দন্ডিত হয়ে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী বীরদর্পে মন্ত্রীত্ব করে যাচ্ছেন। সুতরাং বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন হতে দূরে রাখার সকল কূটকৌশল থেকে সরে না আসলে এর ফল শুভ হবে না।

তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপিল চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি না হওয়ায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। বিচারিক আদালতে দন্ডিত হওয়ার পরও সংসদ সদস্য পদ আপিল করে বহাল থাকার দৃষ্টান্ত এদেশে আছে। ষড়যন্ত্র করে বেগম জিয়ার প্রার্থীতা আটকে দেয়ার কঠোর পরিণতি নির্বাচন কমিশনকে ভোগ করতে হবে।

“একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারবিরোধী প্রচারণা যাতে না ঘটতে পারে, সেজন্য সরকারের নির্দেশে একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করছে নির্বাচন কমিশন। পর্যবেক্ষকদের মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমকে কেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, কেন্দ্র থেকে যেকোনো অনিয়ম-সংঘর্ষ-ভোট ডাকাতির মতো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সরাসরি সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এখন সোশ্যাল মিডিয়াকে ২৪ ঘন্টা মনিটরিংয়ের নামে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মূলত: সরকারের সকল অপকর্ম ঢাকতেই নির্বাচন কমিশনের একের পর এক এই কঠোর নীতিমালা। এইসব নীতিমালা নিঃসন্দেহে একতরফা নির্বাচন আয়োজনেরই চূড়ান্ত পদক্ষেপ বলে জনগণ মনে করে।”

তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সরকার সারাদেশে রিটার্নিং অফিসারদেরকে টয়োটা এলিয়েন গাড়ি গিফট করেছে, যে গাড়ির মূল্য ৩৫ লক্ষ টাকা। এটা নির্বাচনকে সরকারের অনুকূলে প্রভাবিত করার জন্য রিটার্নিং অফিসারদেরকে উৎকোচ দেয়া। আমরা এধরনের ঘৃণ্য কর্মের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

(জাস্ট নিউজ/একে/২১২৯ঘ.)