দুই আইনজীবীর অভিমত

‘খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন’

‘খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন’

ঢাকা, ২৭ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রধান নেত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন না বলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খানের বক্তব্য অসৎ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণদিত। প্রকৃত পক্ষে বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। যদি আইন ও আদালত তার নিজস্ব গতিতে চলে এবং সরকার যদি প্রভাবিত করার চেষ্টা না করে বলে আভিমত দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যাতম আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খানের বক্তব্য প্রসঙ্গে মঙ্গলবার প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, এই দেশে ক্ষমতাসীনদের জন্য আইন একরকম আর বিরোধী দলের জন্য অন্য রকম হতে পারে না। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আপিল করে দণ্ড স্থগিত করে নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোনো বাধা নেই। বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী। তাকে রেখে বাংলাদেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।

বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের অন্যাতম সদস্য খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আপিল করার পর আসামীর দণ্ড স্থগিত করা যায়। আর দণ্ড স্থগিত করা হলে তার নির্বাচন করতে কোনো বাধা থাকে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর দণ্ডিত ছিলেন। তারপরও তিনি সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হয়েছেন। মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া দণ্ডিত অবস্থায় নির্বাচন করে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হয়েছেন। অনেক ইউপি চেয়ারম্যানের দণ্ড স্থগিত করায় নির্বাচন করেছেন। আইনে সুস্পষ্ট রয়েছে আপিল বিভাগে আপিল করলে আদালতের ক্ষমতা রয়েছে দণ্ড স্থগিত করার। আর দণ্ড স্থগিত করা হলে নির্বাচনে অংশ নিতে কোনো বাধা নেই।

এ বিষয়ে বিএনপির আইন সম্পাদক ও বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ প্রতিবেদককে বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান উভয় অন্য মামলায় বক্তব্য দিতে যেয়ে সম্পূর্ণ অসৎ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বেগম খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। প্রত্যেকটা মামলার বিচার হয় ওই মামলার ম্যারিট ও ডিম্যারিট দেখে। বেগম খালেদা জিয়ার মামলা এখন পর্যন্ত হাইকোর্ট বা আপিল বিভাগে এই ধরণের শুনানির জন্য আসেনি। অতএব বেগম খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ এক্ষেত্রে টেনে আনা সমীচিন হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা অ্যাটর্নি জেনারেল ও দুদকের আইনজীবীকে আহ্বান জানাবো সংবিধানের ৬৪ অনুচ্ছেদ ভালোভাবে পড়ার জন্য এবং ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াসহ যেসব মামলা ইতোমধ্যে নজির সৃষ্টি করেছে তা পড়ে দেখার জন্য।

তিনি আরো বলেন, প্রকৃত পক্ষে আমরা বিশ্বাস করি বেগম খালেদা জিয়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। যদি আইন ও আদালত তার নিজস্ব গতিতে চলে এবং সরকার যদি প্রভাবিত করার চেষ্টা না করে। সূত্র: নয়া দিগন্ত

(জাস্ট নিউজ/একে/২২৪৪ঘ.)