২৭ তারিখের মধ্যে এলাকা না ছাড়লে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: লোটাস কামাল

২৭ তারিখের মধ্যে এলাকা না ছাড়লে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: লোটাস কামাল

ঢাকা, ৭ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে বিরোধী নেতা-কর্মীরা এলাকা না ছাড়লে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী ও কুমিল্লা-১০ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল)।

বুধবার রাতে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার কনকশ্রী মধ্যমপাড়ায় বাইন্না বাড়িতে আয়োজিত উঠান বৈঠকে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

বৈঠকে লোটাস কামালের দেয়া ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনেও এ অভিযোগ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের অবৈধ মন্ত্রী লোটাস কামালের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির ভয়াবহ পরিকল্পনা ফাঁস করেছেন। প্রকাশ্যে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়ে শেয়ার বাজার ও ব্যাংক লুটেরাদের ‌অন্যতম আ হ ম মোস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল বলছেন-‘একটা একটা করে খুঁজবেন, ২৭ তারিখের আগে যদি এলাকা ছেড়ে না যায় তা হলে আর ছাড় নাই। তাদের চৌদ্দগুষ্টি পর্যন্ত উৎখাত করবো।’

ওই উঠান বৈঠকে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর আমি হামলা-মামলা করে কাউকে হয়রানি করিনি। আগামী ২৭ (নির্বাচনের ৩ দিন আগে) ডিসেম্বরের পর কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আগামী নির্বাচনে আমাকে নয়, উন্নয়নের মার্কা নৌকাকে বিজয়ী করে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।’

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে একটা কথা বলে গেলাম, তাদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা করি নাই, মামলা করবো না। ২৭ তারিখ পর্যন্ত মামলা করবো না। ২৭ তারিখের পর কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমি আবারো বলে গেলাম, জামায়াত হোক, শিবির হোক, যেই গোষ্ঠিই হোক- এদের চৌদ্দ গোষ্ঠি পর্যন্ত শেষ করবো ইনশাল্লাহ।

এদের কাছে দেশ সেইফ না। আমি আজ বলে গেলাম- এরা এখানে থাকতে পারে, যেখানে সেখানে থাকতে পারে। আপনারা খুঁজে দেখবেন। ২৭ তারিখ পর্যন্ত দেখবো। যদি ২৭ তারিখের মধ্যে এলাকা ছেড়ে চলে না যায়, যদি আমাদের সঙ্গে কোনও কম্প্রোমাইজ না করে, না আসে, তাহলে ২৭ তারিখের পরে আর ছাড় নাই।’

পেরুল দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান এজিএম শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ওই উঠান বৈঠকে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এমএ হামিদ, লালমাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজুমদার, স্থানীয় ইউপি আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, বিজয়পুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী এবং সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলাসহ স্থানীয় এলাকার দল ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৪১৪ঘ.)