ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি মির্জা আলমগীরের

ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি মির্জা আলমগীরের

ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বিএনপি মহাসচিব ও বগুড়া সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সেনাবাহিনীকে ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনী দায়িত্বে মোতায়েনের জোর দাবি জানিয়েছেন আবারো। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সরকারের নির্দেশনা ছাড়া কোনো কাজ করতে পারছে না। তারা ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে। তারা সবদলের জন্য নির্বাচনী সমতল ভূমি তৈরি করতে পারেনি। দেশে সমতল ভ’মি নেই, সম্পূর্ণখানা খন্দে ভরা। আমরা সেই খানাখন্দের মধ্যে নির্বাচনে আছি। তাই সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরী করতে হবে।

তিনি শনিবার বগুড়া শহরের পৌর পার্কের উডবার্ন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২৩ দলীয় জোট মনোনীত জেলার ৭টি আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থীদের নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বগুড়া পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট এ কে এম মাহবুবুর রহমান, জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, বগুড়া -১ আসনের প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া-৩ আসনের আব্দুল মহিত তালুকদার, বগুড়া-৪ আসনের মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৫ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৭ আসনের মোর্শেদ মিলটন।

তবে বগুড়া -২ আসনের প্রার্থী নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না ঢাকায় অবস্থানের কারণে অনুপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আলী আজগর তালুকদার হেনা, মাহবুবর রহমান বকুল, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, সিপার আল বখতিয়ার , মোশাররফ হোসেন চোধুরী , হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, পরিমল চন্দ্র দাস, অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা পপন, শাহাবুল আলম পিপলু , আবু হাসান প্রমুখ।

মির্জা আলমগীর বলেন, বগুড়া হচ্ছে আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের এলাকা। এখানে সারাদেশের মতো ধানের শীষের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ধানের শীষের জন্য মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। গণতন্ত্রের জন্য বগুড়ার মানুষ একত্রিত হয়েছে। তাই যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন জনগণ রুখে দাঁড়ালে কোনো অপশক্তি জিততে পারবে না। পরাজয়ের ভয়ে সরকার জনগণকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়ার অপচেষ্টা করছে। তিনি বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়। জনগণ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট দিতে পারলে গণতন্ত্রের বিজয় হবেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১০ বছর পর দেশে একটি অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে। কিন্তু এই নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আওয়ামী লীগ আন্দোলন করেছিল, ক্ষমতায় গিয়ে মেজরিটির জোরে সেই ব্যবস্থা বাতিল করেছে। এর পর থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।

সর্বশেষ সরকারের সাথে সংলাপে গ্রেফতার বন্ধ ও প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকার যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তাও রক্ষা করা হয়নি। বর্তমানে সারাদেশে প্রার্থী ও কর্মীদের উপর হামলা, মামলা চলছে। একদিকে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র, অপরদিকে আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে মাঠে আছি। আমরা শেষ পর্যন্ত দেখব।

সংবাদ সম্মেলনের পর মির্জা আলমগীর তার নির্বাচনী এলাকা বগুড়া সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে প্রচারণায় অংশ নেন।

(জাস্ট নিউজ/এমজে/১২১৫ঘ.)