সিইসির অভদ্র আচরণে সভা বয়কট করলো ঐক্যফ্রন্ট নেতারা

সিইসির অভদ্র আচরণে সভা বয়কট করলো ঐক্যফ্রন্ট নেতারা

ঢাকা, ২৫ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ): প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অভদ্র আচরণের কারণে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক শেষ না করে বের হয়ে এসেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে নেতারা।

মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা, গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা সিইসি কে এম নূরুল হুদাসহ কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেও ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে তারা বৈঠক বয়কট করে বেরিয়ে আসেন। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সিইসির বিরুদ্ধে ‘অশোভনীয়’ আচরণের অভিযোগ তোলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সিইসি অশোভন আচরণ করেছেন।’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সিইসি কোনো ভদ্রতাসূচিত আচরণ করেননি। আমরা পুলিশের হাতে নির্যাতিত হওয়ার কথা জানালে তিনি কোনো সহানুভূতি না জানিয়ে উল্টো পুলিশের পক্ষে অবস্থান নেন। তাই আমরা বৈঠক থেকে চলে এসেছি।’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সভার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন সিইসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন- সিইসি বর্তমানে প্রধান বিচারপতির চেয়েও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারেন। আপনি ইচ্ছা করলে ‘জানোয়ার লাঠিয়াল পুলিশ বাহিনী’কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আপনার এই ‘লাঠিয়াল’ পুলিশ বাহিনী আমাদের মিটিং-মিছিল কিছুই করতে দিচ্ছে না। এমনকি বেলা ২টার পর মাইক ব্যবহারের জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটের লোকজন নিয়ম-কানুন না মেনে পুলিশের সহায়তায় প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের গুণ্ডা বাহিনী আমাদের ওপর হামলা করছে।’

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীদের জীবনের দাম না থাকলেও কর্মীদের জীবনের দাম রয়েছে। তাদেরতো রক্ষা করতে হবে।’

এসময় সিইসি ক্ষুব্ধ হয়ে ড. কামাল হোসেনকে বলে ওঠেন, ‘আপনি এমন কী হয়েছেন- যে পুলিশকে ‘লাঠিয়াল, জানোয়ার’ বলছেন। নিজেকে কী মনে করেন?’

তখন মঈন খান সিইসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘নির্বাচনের কোনো পরিবেশ যদি সৃষ্টি করতে না পারেন, তাহলে বলে দেন, আমরা আজকেই প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের বিষয়ে ঘোষণা দেবো।’

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৪৪৭ঘ)