ঢাকা, ২৬ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের নির্বাচনের মাঠ থেকে বিতাড়নের সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা, গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।
বুধবার সন্ধ্যায় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এ অভিযোগ করেন গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক।
তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে প্রশাসন, আইন-আদালত, পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনী, আওয়ামী লীগ, সর্বোপরি নির্বাচন কমিশন স্বয়ং কাজ করছে। ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার ও প্রার্থীদের উপর নৃশংসতা জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
আফ্রিক আরো অভিযোগ করেন, নীলনকশার নির্বাচনে ভোট কারচুপির সংবাদ যেন গণমাধ্যমে না আসে, সে জন্য পরিকল্পিতভাবে নানা ধরনের বাধা সৃষ্টি করছে নির্বাচন কমিশন। মোটরসাইকেল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, একসঙ্গে একাধিক মিডিয়ার সাংবাদিক একই ভোটকক্ষে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থেকে ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ, সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না-সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করে সংবাদ সংগ্রহ করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশন এমন নীতিমালা জারির মাধ্যমে মূলত মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমকে গলাটিপে হত্যা করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের এসব বাধানিষেধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করছে যে, নির্বাচন কমিশন গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতাসীনদের নীলনকশা বাস্তবায়নের অপচেষ্টায় লিপ্ত। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের দিন ইন্টারনেটের গতি কমানোর জন্য ফোর জি টু জি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ভোট কেন্দ্রে সংঘটিত নানা রকম ঘটনার সংবাদ মিডিয়ায় দ্রুত আসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।
তিনি বলেন, এই অবস্থায় ঐক্যফ্রন্টের ভরসা এ দেশের জনগণ তথা ভোটারগণ।
যারা অতীতে কোনোদিন ভুল করেনি, তারা এবারো ভুল করবে না। সব ভয়-শঙ্কাকে জয় করে ঐক্যবদ্ধভাবে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে এদেশের সংগ্রামী মানুষ আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটযুদ্ধে সব আগ্রাসনকে মোকাবিলা করে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য, দেশের মালিকানা জনগণ ফিরে পাওয়ার জন্য এবং আমাদের স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার লক্ষ্যে।
সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিকল্পধারার মহাসচিব শাহ মো: বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
(জাস্ট নিউজ/একে/১৮২১ঘ.)