ফেনী-২ আসনে ১২৬টি কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট নেই, চলছে জাল ভোটের মহোৎসব

ফেনী-২ আসনে ১২৬টি কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট নেই, চলছে জাল ভোটের মহোৎসব

ঢাকা, ৩০ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : ফেনী-২ আসনের ১২৬টি কেন্দ্রের কোথাও পাওয়া যায়নি ধানের শীষ প্রতিকের পোলিং এজেন্ট। ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের তেমন উপস্থিতি লক্ষ করা না গেলেও লাইনে দাঁড়িয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক ‘ভোটার’।

সকাল ৮টায় ফেনী-২ আসনের ফেনী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা যায় লাইনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক ‘ভোটার’। যাদের অনেকের বয়স ১৪ কিংবা ১৫। এদের মুখে ছিলো মাস্ক, পরণে ছিলো শর্ট প্যান্ট। ভোট কেন্দ্রের মধ্যে যারা ভোট দিচ্ছেন তাদের অনেকেই এই কেন্দ্রের ভোটার ছিলে না। পোলিং অফিসাররা ভোটার নাম্বার ধরে একে একে ডাকছেন, আর লাইন থেকে আসা বহিরাগত ভোটাররা ভোট দিয়ে বেরিয়ে ফের লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ছেন। মহিলা কেন্দ্রের লাইনে ভোটর না থাকলে বুথের বক্সে ভোট জমা পড়ছে। এ কেন্দ্রের ভোটার আমজাদ হোসেন কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলেও তাকে ভোট দিতে দেয়া হয়নি।

এদিকে সকাল সাড়ে ৮টায় ফেনী-৩ আসনের দাগনভূইয়ার গজারিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যায় ব্যাংক কর্মকর্তা এইচ এম রাশেদ।
তিনি কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চাইলে বাধা দয়ে কিছু যুবক। পরে তিনি জোর করে বুথে ঢুকলে তাকে জানানো হয় তার ভোটটি ইতিমধ্যে দেয়া হয়ে গেছে। পরে তার হাতে অমোচনীয় কালি লাগিয়ে দেয় পোলিং কর্মকর্তা।

অপরদিকে, এই আসনের দাগনভূইয়া জায়লস্কর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে মহাজোটের লাঙ্গর প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীরা। এসময় তাদের হামলায় আহত হয়েছে কুতুব উদ্দিন, ডা. ইকবাল, মাস্টার মমিন নামে কয়েকজন ধানের শীষের এজেন্ট। ভোটারদেরকে কেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছে বহিরাগতরা।

সকাল ৮টায় ফেনী-১ আসনের ছাগলনাইয়া দক্ষিন সতের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যান মোরশেদ আলম নামে এক ভোটার। কেন্দ্রে উপস্থিত এক যুবক তাকে বলে ভেতরে ভোট গ্রহণ চলছে, আপনি এক ঘন্টা পরে আসেন। আমরা কিছু ভোট বক্সে ঢুকিয়ে দেই। পরে আপনারা ভোট দিতে আসিয়েন। ওই ভোটার এক ঘন্টা পর কেন্দ্রে যেয়ে অনেকটা জোর করে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ততক্ষনে ব্যালট বক্সে অনেক ভোট জমা পড়ে যায়।

সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও ভোটের আগের রাতে ফেনী-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন (ভিপি জয়নাল) অভিযোগ করেন শহরের বেশিরভাগ কেন্দ্রের ভোট রাতেই ব্যালট বক্সে ঢুকে গেছে। বিভিন্ন কেন্দ্রের পেছনের দেয়ায় ভেঙ্গে ভোট ডাকাতদের পালাতে সহযোগিতার করেছে নির্বাচনে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা (জেলা প্রশাসক) মো. ওয়াহিদুজজামান জানান, সকাল থেকে সুষ্টভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। কোথাও কোন অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটেনি। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তিনি কোন ধরনের অভিযোগও পাননি।

(জাস্ট নিউজ/এমজে/১০৫৫ঘ.)