দলের প্রার্থীদের ঢাকায় ডেকেছে বিএনপি

দলের প্রার্থীদের ঢাকায় ডেকেছে বিএনপি

সরকারের নিয়ন্ত্রণে ও সকল বাহিনীর পৃষ্ঠোপোষকতায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের শপথ অনুষ্ঠানের দিন বিএনপি প্রার্থীদেরও ঢাকায় আসার জন্য বলেছে দলের মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রবিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২৯৯ আসনে যারা প্রার্থী ছিলেন, তাদের নিয়ে ইসিতে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এই নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মাত্র ৭ জন বিজয়ী হন, বিপরীতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮ আসনে বিজয়ী হয়।

মঙ্গলবার তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু আগামী বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানের কথা জানান। এর পরই বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ একই দিন ধানের শীষের প্রার্থীদের ঢাকায় ডাকার কথা জানান।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

প্রার্থীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে ভোটে অনিয়ম-কারচুপির প্রমাণ, প্রতিটি কেন্দ্রের ‘অস্বাভাবিক’ ভোটের হিসাব, গ্রেপ্তার এজেন্ট ও নেতা-কর্মীদের তালিকা, সহিংসতায় আহত ও নিহতদের তালিকাসহ ৮টি বিষয়ে তথ্যসহ একটি প্রতিবেদনও দিতে বলা হয়েছে। ভোট কারচুপির ভিডিও থাকলে তাও প্রতিবেদনের সঙ্গে দিতে বলা হয়েছে।

এই নির্বাচনে বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গী দলের ২৯৮ জন প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে অংশ নিয়েছিলেন। এর বাইরে একটি আসনে এলডিপির অলি আহমদ দলীয় প্রতীকে এবং জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আযাদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন। পরে আদালতের আদেশে দেড় ডজনের মতো আসনে বিএনপির প্রার্থীরা বাদ পড়ে।

ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানান ড. কামাল হোসেন। ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে বলে দাবি করেন মির্জা আলমগীর।

বিএনপির বিজয়ী প্রার্থীরা শপথ নেবেন না বলেও ইঙ্গিত মিলেছে দলটির নেতাদের কথায়। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।

একে