নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবি সুপ্রিমকোর্ট বারের

নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবি সুপ্রিমকোর্ট বারের

সরকার নিয়ন্ত্রিত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র ও সংবিধান পরাজিত হয়েছে স্বৈরতন্ত্র জয়ী হয়েছে। তাই এ নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

সমিতিরি সভাপতি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতি হয়েছে। আমরা আগেই বলেছিলাম, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। তাহলে জনগণ ভোট দিতে পারবে না। একইসঙ্গে এ নির্বাচন বাতিল করতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি দাবি জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি।

বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানান তিনি।

জয়নুল আবেদীন বলেন, যে নির্বাচন হয়েছে তা দেশ জাতি গ্রহণ করে নাই। এই নির্বাচনকে কোন নির্বাচন বলা যায় না। সংবিধানের অভিভাবক হিসেবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি এ নির্বাচন বাতিল করার জন্য আমি দাবি জানাচ্ছি।

জয়নুল আবেদীন আরো বলেন, এ নির্বাচনে গণতন্ত্র ও সংবিধান পরাজিত হয়েছে স্বৈরতন্ত্র জয়ী হয়েছে। তাই এ নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। সমিতির সভাপতি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতি হয়েছে। আমরা আগেই বলেছিলাম, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। তাহলে জনগণ ভোট দিতে পারবে না। তবুও ঐক্যফ্রন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের কথায় নির্বাচনে এসেছি। কিন্তু আমাদের প্রার্থীর ওপর গুলি করা হয়েছে, এজেন্টদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে করে সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীরা নীরব থাকতে পারি না।

সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, আমি কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, ৯০ শতাংশ এলাকায় নির্বাচনের আগের রাতে পুলিশ ব্যালট বাক্স ভরাট করেছে, এজেন্টদের গুলি করার ভয় দেখিয়েছে, গ্রেফতার করেছে। এমনকি ভোটের পূর্ব মুহূর্তে এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। এমনকি বিভিন্ন এলাকা থেকে আইনজীবীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

জয়নুল আবেদীন বলেন, নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্র গ্রহণের পর সে বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা হাইকোর্টের নেই। তবুও হাইকোর্টের বিচারপতিরা মামলাগুলোর শুনানি নিয়ে অনেকের মনোনয়নপত্র বাতিল করে নিজেদের শপথ ভঙ্গ করেছেন। তাই আপনারা পদত্যাগ করুণ। আর এই নির্বাচন যেহেতু জাতি গ্রহণ করেনি তাই এ নির্বাচন বাতিলের আবেদন জানাচ্ছি।

সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন- নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যমুনা টেলিভিশনের ক্যাবল সম্প্রচার বন্ধ এবং খুলনায় দুইজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা হওয়ার ঘটনা নির্বাচন কেমন হয়েছে, তা প্রমাণ করে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন ও সরকার যৌথভাবে জনগণ, সংবিধান, গণতন্ত্র, বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতারণা করেছেন। আইনজীবী সমিতি ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

একে/