জনগণের ক্ষোভে যেকোনো মুহূর্তে টর্নেডোর আঘাত আসবে: বিএনপি

জনগণের ক্ষোভে যেকোনো মুহূর্তে টর্নেডোর আঘাত আসবে: বিএনপি ফাইল ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার ওপর সরকারি জুলুমের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ আঁচ করতে না পারলেও, তা যেকোনো মুহূর্তে প্রবল ঘূর্ণীতে টর্নেডোর আঘাত হয়ে আসবে।’

শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী আহমেদ জানান, ‘১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া বিএনপি’র প্রাথমিক সদস্য হিসাবে দলে যোগ দেন। এর ২ মাসের মধ্যে গণতন্ত্র হত্যা করে হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ সামরিক শাসন জারি করেন। ফলে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাধীনতার ঘোষক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রবর্তিত বহুদলীয় গণতন্ত্রের এগিয়ে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। কণ্ঠরোধ করা হয় জনগণের। জাতীয় জীবনে নেমে আসে দুঃসময়।

তিনি বলেন, ‘এইরকম এক ক্রান্তিকালে শুরু হলো গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের আন্দোলন। সেই আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়ার অবদান বীরুত্বগাঁথা। সেই সময়ে নিরবিচ্ছিন্ন সংগ্রামে তিনি জাতীয় রাজনীতির মঞ্চে একক ও অনন্য নেতৃত্বে সুপ্রতিষ্ঠিত হন। দীর্ঘ ৯ বছরের সংগ্রামে, সংকটে আপসহীন ধারায় জনগণের সাথে অঙ্গিকার ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে তিনি গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনেন। শুরু হয় গণতন্ত্রের পথ চলা।’

‘বেগম খালেদা জিয়ার ৩৬ বছরের রাজনৈতিক জীবনে দেশ ও জাতির প্রতি অবদানের জন্য আমরা তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা তার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি’— বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘দেশী বিদেশি চক্র এই মহান জাতীয়তাবাদী নেত্রীর উত্থান সহ্য করতে পারেনি। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে যিনি আগলে রেখেছিলেন অতন্দ্র প্রহরীর মতো, সেই তাকে পর্যুদস্ত করতে চক্রান্তকারীরা চক্রান্তের জাল বুনতে থাকে।’

রিজভী আহমেদ বলেন, ‘ভোটার শূন্য নির্বাচনে বিদেশি মদদপুষ্ট অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী শক্তি গণতন্ত্রকে দাফন করতে বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রেখে জুলুম চালিয়ে যাচ্ছে। বিনা চিকিৎসা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং কারাবিধি অনুযায়ী নিকটজনদের সাক্ষাৎ করতে নানা ফন্দি ফিকির করে বিলম্ব করা হচ্ছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ৭ দিন পর পর আত্মীয় স্বজনদের দেখা করার কথা। অথচ বেগম খালেদা জিয়ার জন্য কারাকর্তৃপক্ষ ১৫ দিন পরপর সাক্ষাতের বিধান করে। এবারে ২০/২১ দিন অতিবাহিত হলেও দেশনেত্রীর সাথে তার আত্মীয় স্বজনদের সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি।’

রিজভী আহমেদ আরো বলেন, ‘দলের সিনিয়র নেতারা ও ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা গত ৪ মাস যাবৎ বেগম জিয়ার সাথে দেখা করতে পারছেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে মহা জালিয়াতির নির্বাচনের পর অবৈধ শাসকগোষ্ঠী আরও বেশি নিষ্ঠুর ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দেশটা এখন জনগণের নয়। দেশ এখন আওয়ামী লীগের একক তালুকদারীতে পরিণত হয়েছে। তাই সরকার বিদ্বেষ ও উগ্রতা দিয়ে বেগম জিয়াকে জুলুম ও নাজেহাল করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে।’

এমআই