গণধর্ষণের শিকার সেই গৃহবধূকে বিএনপির আর্থিক সহযোগিতা

গণধর্ষণের শিকার সেই গৃহবধূকে বিএনপির আর্থিক সহযোগিতা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূর সঙ্গে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে দেখা করলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

শনিবার দুপুর ১টার দিকে ওই গৃহবধূর সঙ্গে দেখা করেন তারা।

এর আগে গণধর্ষণের শিকার ওই নারী ও তার পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে রওনা হন মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল।

সফরে ফখরুলের সঙ্গে রয়েছেন নোয়াখালীর ওই আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। এ ছাড়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, হারুনুর রশীদ, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, কেন্দ্রীয় নেতা রেহানা আখতার রানু, সৈয়দ আসিফা আশরাফী পাপিয়া প্রমুখ।

পথে কুমিল্লায় যাত্রাবিরতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা দেখেছি, নোয়াখালীতে আমাদের একটি বোন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণসহ সারা বাংলাদেশের সহিংসতার আমরা নিন্দা জানিয়েছি এবং জনগণের কাছে প্রতি আমরা আহ্বান জানিয়েছি এই সহিংসতাকে তাদের প্রতিরোধ করা প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা বলেছি তাদের উচিত হবে এই সহিংসতা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা।’

গত ৩০ ডিসেম্বর ভোট কেন্দ্রে বাকবির্তকের জের ধরে ওইদিন দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে ভিকটিমের ঘরে ভিতরে প্রবেশ করে স্থানীয় সন্ত্রাসী সোহেল, স্বপন, চৌধুরী, বেচুসহ ১০ জন। এ সময় তারা ঘরে ভাঙচুর করে ভিকটিমের স্বামী সিরাজ উদ্দিনকে মারধর ও চার সন্তানকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে উঠানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা করে।

এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী নয়জনকে আসামি করে মামলা করেন।এরই মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বাকি দুজনকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই নারী এখনও সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এমআই