শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিকে সরকার ভয়ের চোখে দেখছে: মির্জা আলমগীর

শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিকে সরকার ভয়ের চোখে দেখছে: মির্জা আলমগীর

রাজধানীর সাভার-উত্তরা-মিরপুরে ন্যূনতম মুজরি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলাকালে গুলিতে এক শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া নিয়ে মিছিলের সময় সুমন নামে একজন শ্রমিক গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনা দেশে বিরাজমান নৈরাজ্যেরই প্রতিচ্ছবি। অধিকার আদায়ের জন্য প্রতিবাদী মানুষের নিরাপত্তা এখন সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়েছে। মহাভোট জালিয়াতির নির্বাচনের পর সরকার আরো বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এই আন্দোলনে শ্রমিকের প্রাণ হরণের ঘটনায় মনে হয়-এদেশে প্রতিবাদ-সভা-সমাবেশের মতো গণতান্ত্রিক অধিকারকে আর কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।

মির্জা আলমগীর বলেন, যে শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি তাদের যৌক্তিক দাবি দাওয়ার প্রতি তাচ্ছিল্য ও অবহেলাই নয় এখন তাদের ন্যায্য দাবিকে দমাতে নিষ্ঠুর দমননীতি অবলম্বন করা হচ্ছে। সরকার জনবিচ্ছিন্ন বলেই শ্রমিকের ন্যায্য দাবিকে ভয়ের চোখে দেখছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে দেশ শাসন করাটাই এখন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

সুতরাং দুঃশাসনের প্রকোপ ক্রমশঃ বিপজ্জনক রূপ ধারণ করছে। সর্বব্যাপী নিপীড়ণের যে ছবি আমরা দেখতে পাচ্ছি তাতে জনজীবন নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে থাকাটা আরো কঠিন হয়ে উঠছে।

তিনি বলেন, দেশ শোক-সঙ্কটে নিমজ্জমান, এই অরাজক পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে হবে। জনগণের ঐক্যই আমাদের একমাত্র ভরসা। এই ঐক্যের ওপর ভর করেই আমরা গণতন্ত্র, ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করবো। আমি গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি। আমি নিহত শ্রমিক সুমনের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।

এমআই