সংলাপ নিয়ে কাদেরের উল্টো সুর

সংলাপ নিয়ে কাদেরের উল্টো সুর

রাজনৈতিক দলগুলোকে আবার প্রধানমন্ত্রী সংলাপে ডাকবেন-এমন কথা জানানোর একদিন পরই উল্টো খবর দিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সোমবার তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে। আবার তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। আর সেটা শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য। এখানে কোনো সংলাপ নয়।’

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যানের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নতুন নির্বাচনের পথ তৈরি করতে সংলাপের আহ্বান জানায়। এর উত্তরে রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের সব রাজনৈতিক দলকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ঐক্যফ্রন্ট ও যুক্তফ্রন্টসহ ৭৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গণভবনে সংলাপ হয়েছিল। এখন নির্বাচন শেষ হয়েছে, নেত্রী গতকাল (শনিবার) আমাদের সঙ্গে ওয়ার্কিং কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ বৈঠকে বলেছেন যে, যাদের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে তাদেরকে আমন্ত্রণ করবেন, আহ্বান করবেন, নিমন্ত্রণ করবেন। তাদের সঙ্গে কিছু মতবিনিময় করবেন এবং তাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকবে। এ ব্যাপারে আমরাও সবাই একমত, যারা সংলাপ এসেছিলেন তাদেরকে আবারো নেত্রী সংলাপে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।'

কাদের আরো বলেন, 'একসঙ্গে সবাইকে দাওয়াত দেয়া হবে। সেটা খুব শিগগিরই জানিয়ে দেয়া হবে। সব রাজনৈতিক দল গণভবনে আমন্ত্রিত। ঐক্যফ্রন্ট আছে, যুক্তফ্রন্ট আছে, ১৪ দল আছে, জাতীয় পার্টি আছে, অন্যান্য যেসব দল আছে— সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। যাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সংলাপ করেছিলেন, তাদেরকে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হবে।'

ওই সংলাপের বিষয়ে বুধবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। উত্তরে তিনি বলেন, ‘সংলাপের এজেন্ডা তো আমরা জানি না। নিঃসন্দেহে যখন আমাদের এজেন্ডা জানাবেন, তখন আমরা সে বিষয়ে বিবেচনা করব।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সংলাপ যদি গতবারের মতো হয়, তাহলে সেই সংলাপ কখনোই অর্থবহ হবে না। তাছাড়া সংলাপের এজেন্ডাটা কী? উনি (ওবায়দুল কাদের) যে সংলাপের কথা বলছেন, তার এজেন্ডাটা কী? আমাদের এজেন্ডা তো একটা, এই নির্বাচন বাতিল করতে হবে। পুনরায় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে।’

একই দিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে ঐক্যফ্রন্টসহ ৭৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য চিঠি দিয়ে আবার তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। আর সেটা শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য। এখানে কোনো সংলাপ নয়।’

৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন দলের সঙ্গে সংলাপ করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সেই সংলাপ ‘অর্থবহ হয়নি’ বলে মনে করেন বিএনপি নেতারা।

একে/