এমপিদের শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

এমপিদের শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

দশম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের শপথ নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এ রিট দায়ের করেন।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের শপথ বাতিল করে গেজেট প্রকাশের দাবি জানিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

তিনি গত ৮ জানুয়ারি এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিলেন। আইনজীবী মো. তাহেরুল ইসলাম তাওহীদের পক্ষে নোটিশটি প্রেরণ করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

১৩ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে ওই নোটিশের জবাব চাওয়া হয়। জবাব না পেয়ে এই রিট আবেদন দায়ের করা হয়। নোটিশে বলা হয়, দশম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একাদশ সংসদের নবনির্বাচিত সদস্যরা শপথ নিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন।

সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রতি সংসদ মেয়াদোত্তীর্ণ হলে পূর্বের সংসদ সমাপ্তি না হওয়া পর্যন্ত এরা দায়িত্ব পালন করবেন। সে অনুযায়ী নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ৩ জানুয়ারি নেওয়া শপথে সংবিধান লঙ্ঘন হয়েছে। সংবিধানের ১৪৮ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শপথের জন্য নির্বাচিতদের উচিত ছিল ১২৩(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করা। ফলে এই শপথ বাতিল করার জন্য আমরা বলেছি। শপথ বাতিল পাশাপাশি নতুন করে গেজেট করতে।

নোটিশের বিষয়ে ব্যারিস্টার খোকন বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নেওয়া কেবল বেআইনিই হয়নি, বেআইনিভাবে তারা তাদের পদের মেয়াদও বাড়িয়ে নিয়েছেন। সংবিধানের ৭২(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২৯ জানুয়ারি। তাই শপথ নেওয়া নির্বাচিতরা শুধু আইনকেই বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাননি, তারা তাদের সংসদ সদস্য পদটিকেও অকার্যকর করে ফেলেছেন।

একে/